তুমি কি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ো? তুমি কি ভূগোল বইয়ের বরফে ঢাকা মহাদেশ অর্থাৎ আন্টার্টিকা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর চাও? তাহলে একদম তুমি ঠিক জায়গায় এসেছ। এখানে আমাদের পৃথিবী বইয়ের আন্টার্টিকা মহাদেশ সম্পর্কে সমস্ত প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রশ্ন উত্তরের পাশাপাশি ইন্টারেক্টিভ কুইজ রয়েছে। ডান দিক বাদিক মেলানো ও MCQ কুইজ রয়েছে যা তুমি খেলতে পারো।
বামপক্ষ | ডানপক্ষ |
---|---|
ভারতের প্রথম গবেষণা কেন্দ্র | দক্ষিণ গঙ্গোত্রী |
দীর্ঘতম হিমবাহ | ল্যাম্বার্ট |
আন্টার্কটিকার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি | মাউন্ট এরেবাস |
আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ | ভিনসন ম্যাসিফ |
আন্টার্কটিকার বিখ্যাত পাখি | পেঙ্গুইন |
আন্টার্কটিকা কথার অর্থ | উত্তরের বিপরীত |
আন্টার্কটিকা আবিষ্কারক | আমুন্ডসেন |
আন্টার্কটিকার প্রবল তুষার ঝড় | ব্লিজার্ড |
তুষার মুক্ত পর্বত শৃঙ্গ | নুনাটাক |
পৃথিবীর শীতলতম স্থান | ভস্টক |
Score
0
1 আন্টার্কটিকা মহাদেশের উচ্চতা-
3-4 কিমি
2-5 কিমি
5-6 কিমি
2 আন্টার্কটিকা মহাদেশের ছোটো অংশটি অবস্থিত-
উত্তর দিকে
পশ্চিম দিকে
পূর্বদিকে
3 আন্টার্কটিকা মহাদেশের প্রশস্ত অংশটি অবস্থিত—
পূর্বদিকে
দক্ষিণ দিকে
উত্তর দিকে
4 আন্টার্কটিকার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি-
ভিনসন ম্যাসিফ
ল্যাম্বার্ট
মাউন্ট এরেবাস
5 আন্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল-
ভিনসন ম্যাসিফ
ম্যাককিনলে
উইলহেলম
6 পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহের নাম হল-
সিয়াচেন হিমবাহ
ল্যাম্বার্ট হিমবাহ
বলটারো হিমবাহ
7 আন্টার্কটিকাতে বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় প্রায়-
420 কিমি
500 কিমি
320 কিমি
8 আন্টার্কটিকার জলবায়ু-
শীতল নাতিশীতোয় প্রকৃতির
শীতল প্রকৃতির
তীব্র শীতল প্রকৃতির
9 আন্টার্কটিকাতে শীতকালের তাপমাত্রা-
-30° সে থেকে-70° সে
-40° সে থেকে-75° সে
-20° সে থেকে-25° সে
10 রাশিয়ার গবেষণাকেন্দ্রটি হল-
হ্যালি
ভস্টক
মৈত্রী
11 ভস্টকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা-
-89.2° সে
-45.2° সে
-22.3° সে
12 আন্টার্কটিকার বিখ্যাত পাখির নাম হল-
এমু
পেঙ্গুইন
হাঁস
13 বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকা মহাদেশ অভিযান করেন-
শীতকালে
গ্রীষ্মকালে
শরৎকালে
14 আন্টার্কটিকায় অবস্থিত ভারতের বর্তমান গবেষণাকেন্দ্রটি হল
দক্ষিণ গঙ্গোত্রী
মৈত্রী
হ্যালি
15 অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের প্রথম গবেষণাকেন্দ্রটি হল-
মৈত্রী
ফ্রিল
দক্ষিণ গঙ্গোত্রী
16 বিজ্ঞানের মহাদেশ বলা হয়-
অ্যান্টার্কটিকাকে
এশিয়াকে
ইউরোপকে
17 অ্যান্টার্কটিকায় প্রাপ্ত ক্রিল একধরনের-
পাখি
চিংড়ি
উদ্ভিদ
18 পৃথিবীর মানচিত্রে আন্টার্কটিকাকে দেখানো হয়-
নীল
কালো
সাদা
19 'Antarktika'-র অর্থ হল-
দক্ষিণে বিপরীত
পূর্বের বিপরীত
উত্তরের বিপরীত
20 60° দক্ষিণ অক্ষরেখাকে ঘিরে রয়েছে-
কুমেরু মহাসাগর
সুমেরু মহাসাগর
প্রশান্ত মহাসাগর
21 পৃথিবীর শীতলতম মহাদেশ-
এশিয়া
সুমেরু মহাদেশ
আন্টার্কটিকা
22 পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ-
উত্তর আমেরিকা
আন্টার্কটিকা
দক্ষিণ আমেরিকা
23 আন্টার্কটিকা মহাদেশটি আবিষ্কার করেন-
কলম্বাস
আমুন্ডসেন
ক্যাপটেন কুক
24 আন্টার্কটিকা মহাদেশের আয়তন-
1 কোটি 40 লক্ষ বর্গকিমি
3 কোটি 50 লক্ষ বর্গকিমি
5 কোটি 30 লক্ষ বর্গকিমি
25 আয়তন অনুসারে আন্টার্কটিকা মহাদেশটি পৃথিবীর মধ্যে-
পঞ্চম
সপ্তম
ষষ্ঠ
26 সারাবছরই আন্টার্কটিকায় বরফের স্তরের পুরুত্ব থাকে-
3-4 কিমি
1-2 কিমি
5-6 কিমি
27 'সাদা মহাদেশ' বলা হয়-
এশিয়া মহাদেশকে
আন্টার্কটিকা মহাদেশকে
আফ্রিকা মহাদেশকে
28 আন্টার্কটিকা মহাদেশটি অবস্থিত-
উত্তর গোলার্ধে
পশ্চিম গোলার্ধে
দক্ষিণ গোলার্ধে
29 আন্টার্কটিকার নিকটবর্তী মহাদেশ হল-
ওশিয়ানিয়া
দক্ষিণ আমেরিকা
এশিয়া
30 বরফের রাজ্য বলা হয়-
এশিয়াকে
ইউরোপকে
আন্টার্কটিকাকে
31 আন্টার্কটিকা মহাদেশটি একটি বিশাল উঁচু-
মালভূমি
পর্বত
সমভূমি
(32) 'Antarktika' শব্দের অর্থ দক্ষিণের বিপরীত।
অশুদ্ধ
(33) পৃথিবীর পঞ্চম মহাদেশ হল ইউরোপ।
অশুদ্ধ
(34) অ্যান্টার্কটিকার আর-এক নাম সাদা মহাদেশ।
শুদ্ধ
(35) পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা।
শুদ্ধ
(36) পৃথিবীর দুর্গমতম মহাদেশ এশিয়া।
অশুদ্ধ
(37) প্রশান্ত মহাসাগরের রস উপসাগরের তীরে মাউন্ট এরেবাস অবস্থিত।
শুদ্ধ
(38) অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ভিনসন ম্যাসিফ।
শুদ্ধ
(39) পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহ ল্যাম্বার্ট হিমবাহ।
শুদ্ধ
(40) ট্রান্স অ্যান্টার্কটিকা পর্বতশ্রেণি 3,500 কিমি দীর্ঘ।
শুদ্ধ
(41) রাশিয়ার গবেষণাকেন্দ্রের নাম ভস্টক।
শুদ্ধ
(42) অ্যান্টার্কটিকা একসময় ______ ভূখণ্ডের অংশ ছিল।
প্যানজিয়া
(43) অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর ______ নামে একটি প্রাচীন মহাদেশ।
শীতলতম
(44) অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত একটি উপসাগর হল ______।
রস
(45) ______ মহাসাগর অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটিকে বেষ্টন করে রয়েছে।
কুমেরু
(46) অ্যান্টার্কটিকার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হল ______।
মাউন্ট এরেবাস
(47) ভিনসন ম্যাসিফ ______ মহাদেশের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ।
অ্যান্টার্কটিকা
(48) পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহ ______।
ল্যাম্বার্ট
(49) পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশীয় হিমবাহটির নাম ______।
বিয়ার্ডমোর
(50) অ্যান্টার্কটিকার মেরুপ্রভাকে অরোরা ______ বলে।
অস্ট্রালিস
(51) অ্যান্টার্কটিকায় বরফের যে-অংশটি সমুদ্রের দিকে হেলে অবস্থান করে, তাকে ______ বলে।
আইসশেলফ
(52) অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে বড়ো পেঙ্গুইন হল ______।
এম্পেরর
(53) পৃথিবীর শীতলতম, জনবসতিহীন স্থান হল ______।
ভস্টক
(54) অ্যান্টার্কটিকার বিয়ার্ডমোর হিমবাহ হল পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ।
আন্টার্কটিকার ল্যাম্বার্ট হিমবাহ হল পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাদেশীয় হিমবাহ।
(55) অ্যান্টার্কটিকা বা কুমেরু মহাদেশের মেরুজ্যোতিকে অরোরা বোরিয়ালিস বলে।
অ্যান্টার্কটিকা বা কুমেরু মহাদেশের মেরুজ্যোতিকে অরোরা অস্ট্রালিস বলে।
(56) মাউন্ট এরেবাস একটি পর্বতশৃঙ্গ।
মাউন্ট এরেবাস একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি।
(57) একসময় অ্যান্টার্কটিকা, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত একসঙ্গে প্যানথালাসার অংশ ছিল।
একসময় অ্যান্টার্কটিকা, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত একসঙ্গে প্যানজিয়ার অংশ ছিল।
(58) দক্ষিণমেরু অঞ্চলের বাসিন্দা হল মেরু-ভালুক।
উত্তর মেরু অঞ্চলের বাসিন্দা হল মেরু-ভালুক।
(59) ভারতের গবেষণা কেন্দ্র 'দক্ষিণ গঙ্গোত্রী' 1988 খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপন করা হয়েছিল।
ভারতের গবেষণা কেন্দ্র 'মৈত্রী' 1988 খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপন করা হয়েছিল।
(60) ভারতের গবেষণা কেন্দ্র 'মৈত্রী' 1982 খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপন করা হয়েছিল।
ভারতের গবেষণা কেন্দ্র 'দক্ষিণ গঙ্গোত্রী' 1982 খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপন করা হয়েছিল।
(61) অ্যান্টার্কটিকার বিখ্যাত পাখির নাম ইগল।
অ্যান্টার্কটিকার বিখ্যাত পাখির নাম পেঙ্গুইন।
(62) ভারতের বিজ্ঞানীরা মার্চ-এপ্রিল মাসে অ্যান্টার্কটিকা অভিযানে যান।
ভারতের বিজ্ঞানীরা ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে অ্যান্টার্কটিকা অভিযানে যান।
(63) অ্যান্টার্কটিকার প্রবল তুষারঝড় 'মিস্ট্রাল' নামে পরিচিত।
অ্যান্টার্কটিকার প্রবল তুষারঝড় 'ব্লিজার্ড' নামে পরিচিত।
(64) এদের মধ্যে কোনটি আলাদা লেখো: ইউরোপ, অ্যান্টার্কটিকা, আফ্রিকা, আমুন্ডসেন।
আমুন্ডসেন
(65) এদের মধ্যে কোনটি আলাদা লেখো: রস উপসাগর, কুমেরু মহাসাগর, ল্যাম্বার্ট হিমবাহ।
ল্যাম্বার্ট হিমবাহ
(66) এদের মধ্যে কোনটি আলাদা লেখো: ভিনসন ম্যাসিফ, দক্ষিণ গঙ্গোত্রী, মৈত্রী।
ভিনসন ম্যাসিফ
(67) এদের মধ্যে কোনটি আলাদা লেখো: বিয়ার্ডমোর হিমবাহ, বরফের স্তূপ, মেরুজ্যোতি।
মেরুজ্যোতি
(68) এদের মধ্যে কোনটি আলাদা লেখো: সামুদ্রিক চিংড়ি, মাছ, পেঙ্গুইন।
পেঙ্গুইন
আরো দেখুন : [QnA] Class VI Geography Chapter 5 | জল - স্থল - বাতাস | অধ্যায় 5 : আমাদের পৃথিবী বই প্রশ্ন উত্তর
নিচের ছবির কুইজ অংশগ্রহণ করে আন্টার্টিকা সম্পর্কে তোমার জ্ঞান আরো বাড়াতে পারো
(69) কত বছর আগে জানা যায় পৃথিবীর দক্ষিণমেরুতে বা কুমেরুতে বরফ রয়েছে?
প্রায় 200 বছর আগে
(70) অ্যান্টার্কটিকা শব্দের অর্থ কী?
উত্তরের বিপরীত
(71) অ্যান্টার্কটিকার অবস্থান কোথায়?
90° দক্ষিণ মেরুবিন্দু থেকে 60° দক্ষিণ অক্ষরেখার মধ্যে
(72) অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে কোন মহাসাগর?
কুমেরু মহাসাগর
(73) 'শ্বেত মহাদেশ' কাকে বলা হয়?
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে
(74) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অতীত নাম কী ছিল?
টেরা অস্ট্রালিস ইনকগনিকা
(75) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অপর নাম কী?
কুমেরু মহাদেশ
(76) পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ কোনটি?
অ্যান্টার্কটিকা
(77) অ্যান্টার্কটিকার আয়তন কত?
1 কোটি 40 লক্ষ বর্গকিমি
(78) পৃথিবীর শুষ্কতম, উচ্চতম, শীতল ও দুর্গম মহাদেশ কোনটি?
অ্যান্টার্কটিকা
(79) অ্যান্টার্কটিকা সারাবছর কত পুরু স্থায়ী বরফের চাদরে ঢাকা থাকে?
1-2 কিমি
(80) পৃথিবীর মানচিত্রে অ্যান্টার্কটিকাকে কী রঙে দেখানো হয়?
সাদা
(81) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশটি কী ধরনের ভূমিরূপ দ্বারা গঠিত?
উঁচু মালভূমি
(82) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের একটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরির নাম লেখো।
মাউন্ট এরেবাস
(83) অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
ভিনসন ম্যাসিফ
(84) পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহ কোনটি?
ল্যাম্বার্ট হিমবাহ
(85) দক্ষিণমেরুতে যেমন বরফে ঢাকা একটি মহাদেশ আছে, সুমেরুতে কী আছে?
সুমেরু মহাসাগর
(86) অ্যান্টার্কটিকার জলবায়ু কী প্রকৃতির?
চরম শীতল প্রকৃতির
(87) অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপিত রাশিয়ার একটি গবেষণাকেন্দ্রের নাম লেখো।
ভস্টক
(88) পৃথিবীর শীতলতম স্থানের নাম কী?
ভস্টক
(89) অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত একটি পর্বতমালার নাম করো।
ট্রান্স অ্যান্টার্কটিকা পর্বতশ্রেণি
(90) ভস্টক এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত?
-89.2° সে
(91) রামধনু রঙের মতো যে আলোক ছটা দেখা যায়, তাকে কী বলে?
মেরুজ্যোতি
(92) কোন মহাদেশে ঋতুগত তারতম্যে আয়তনের তারতম্য হয়?
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে
(93) অ্যান্টার্কটিকাতে গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা কত?
-20° সে
(94) অ্যান্টার্কটিকার একমাত্র স্থায়ী বাসিন্দা কে?
পেঙ্গুইন
(95) ক্রিল কী?
এক প্রকার লাল চিংড়ি
(96) অ্যান্টার্কটিকাতে কতরকম প্রজাতির পেঙ্গুইন আছে?
প্রায় সতেরো রকমের
(97) ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পেঙ্গুইনদের ত্বকের নীচে কী থাকে?
পুরু চর্বির স্তর
(98) কুমেরু মহাদেশে কোন কোন সামুদ্রিক পাখি দেখা যায়?
পেঙ্গুইন, পেট্রেল, গ্যাল, স্কুয়া
(99) কত খ্রিস্টাব্দে ভারত প্রথম অ্যান্টার্কটিকা অভিযান করে?
1982 খ্রিস্টাব্দে
(100) কোন অভিযাত্রী প্রথম কুমেরুতে পৌঁছেছিলেন?
ক্যাপটেন জেমস কুক
(101) কত খ্রিস্টাব্দে মেরু সাগরের নিকট দ্বীপ আবিষ্কৃত হয়?
1911 খ্রিস্টাব্দের 19 অক্টোবর
(102) কে কুমেরু বিন্দুতে প্রথম পৌঁছেছিলেন?
রোয়াল্ড আমুন্ডসেন
(103) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের তুষারঝড় কী নামে পরিচিত?
ব্লিজার্ড
(104) কাকে বিজ্ঞানের মহাদেশ বলা হয়?
অ্যান্টার্কটিকাকে
(105) কুমেরু মহাদেশে ক-টি দেশের গবেষণাকেন্দ্র আছে?
40টি দেশের
(106) অ্যান্টার্কটিকার একটি খনিজ সম্পদের নাম লেখো।
খনিজ তেল
(107) অ্যান্টার্কটিকাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিটির নাম কী?
অ্যান্টার্কটিকা ট্রিটি
(108) অ্যান্টার্কটিকায় ক-টি গবেষণাকেন্দ্র আছে?
100-টির বেশি
(109) কত খ্রিস্টাব্দে অ্যান্টার্কটিকাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়?
1959 খ্রিস্টাব্দে
(110) অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত গ্রেট ব্রিটেনের গবেষণাকেন্দ্রের নাম কী?
হ্যালি
(111) এমন একটি দেশের নাম লেখো যার গবেষণাকেন্দ্র অ্যান্টার্কটিকাতে আছে?
ভারত
(112) অ্যান্টার্কটিকাতে অবস্থিত ভারতের প্রথম গবেষণাকেন্দ্র কোনটি?
দক্ষিণ গঙ্গোত্রী
(113) ভারতের অষ্টম অভিযাত্রী দল কবে অভিযান করে মৈত্রী স্থাপন করেন?
1988 খ্রিস্টাব্দের 26 মার্চ
(114) আন্টার্কটিকায় অবস্থিত ভারতের দ্বিতীয় গবেষণাকেন্দ্রের নাম কী?
মৈত্রী
(115) দক্ষিণ গঙ্গোত্রী থেকে মৈত্রীর দূরত্ব কত?
70 কিমি
(116) কী জন্য অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলে যাচ্ছে?
বিশ্বউন্নায়নের কারণে
(117) অ্যান্টার্কটিকার মধ্যে প্রথম কী লক্ষ করা গিয়েছিল?
ওজোনস্তরের গহ্বর
(118) তুষারমুক্ত পর্বতশৃঙ্গকে কী বলে?
নুনাটাক
(119) সুমেরুতে প্রথম কে পৌঁছেছিলেন?
1909 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার অভিযাত্রী রবার্ট পিয়েরি এবং তাঁর সঙ্গীরা প্রথম সুমেরুবিন্দুতে পৌঁছেছিলেন।
(120) কেমন ছিল সেই অভিযান?
1908 খ্রিস্টাব্দের 6 জুলাই রবার্ট পিয়েরি উত্তর মেরু জয় করার উদ্দেশ্যে অভিযান শুরু করেন। 24 জন অভিযাত্রী মিলে 1909 খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে এলসমেয়ার দ্বীপে (কানাডার) বেস ক্যাম্প তৈরি করেন। শেষ পর্যায়ে তিনি তাঁর সঙ্গী হাডসন ও স্থানীয় ইনুইট-কে সঙ্গে নিয়ে কঠিন বরফের ওপর দিয়ে উত্তর মেরুর দিকে যাত্রা করেন। 1909 খ্রিস্টাব্দের 6 এপ্রিল উত্তর মেরুর দূরত্বে একটি ক্যাম্প তৈরি করা হয়। রবার্ট পিয়েরি এবং তাঁর সঙ্গীরা সুমেরু বিন্দুতে সর্বপ্রথম পৌঁছান। পিয়েরি ওই স্থানটিকেই উত্তর মেরু মনে করেন।
(121) দক্ষিণমেরুতে যেমন বরফে ঢাকা একটি মহাদেশ আছে, সুমেরুতে কী আছে?
দক্ষিণমেরুর মতো সুমেরুতে কোনো মহাদেশের ভূখণ্ড নেই, আছে সুমেরু মহাসাগর। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে এই মহাসাগরের জল জমে বরফের কয়েক মিটার (3-4 মিটার) পুরু স্তর গড়ে উঠেছে। এই বরফের ওপর বসবাসকারী অন্যতম প্রাণী হলো মেরু-ভালুক। তবে সমুদ্রে সিল, তিমি প্রভৃতি প্রাণী ও মৎস্যও দেখা যায়।
(122) আন্টার্কটিকা মহাদেশের অবস্থান লেখো।
আন্টার্কটিকা মহাদেশটি দক্ষিণ মেরুবিন্দুকে (90° দক্ষিণ) কেন্দ্র করে 60° দক্ষিণ অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। মহাদেশটিকে চারদিক দিয়ে দক্ষিণ মহাসাগর বা কুমেরু মহাসাগরীয় জলভাগ ঘিরে রয়েছে।
(123) আন্টার্কটিকা মহাদেশকে কেন সাদা মহাদেশ বলা হয়?
আন্টার্কটিকা মহাদেশে সারাবছর হিমশীতল আবহাওয়া বিরাজ করে। এখানকার ভূমিভাগ 1-2 কিমি স্থায়ী পুরু বরফে ঢাকা থাকে। তাই পৃথিবীর মানচিত্রে একে সাদা রঙে দেখানো হয়। এই কারণে আন্টার্কটিকা মহাদেশকে 'সাদা মহাদেশ' বলা হয়।
(124) 1911 খ্রিস্টাব্দের 14 ডিসেম্বর কীসের জন্য বিখ্যাত?
1911 খ্রিস্টাব্দের 14 ডিসেম্বর প্রথম মানুষ দক্ষিণ মেরুতে (90° দ) পদার্পণ করেন। ভয়ংকর প্রতিকূল আবহাওয়া, তুষারঝড়, এবং বরফের স্তরে বড়ো বড়ো ফাটল পেরিয়ে নরওয়ের অভিযাত্রী রোয়াল্ড আমুন্ডসেন ও তাঁর সঙ্গীরা দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছোতে সফল হন। এই কারণে দিনটি বিখ্যাত।
(125) 'কুমেরুপ্রভা' কী?
অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ মেরু বা কুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত। এই অঞ্চলে বছরে ছয় মাস মাঝে মাঝে আকাশজুড়ে বিভিন্ন রঙের আলোর ছটা বা প্রভা দেখা যায়, যাকে কুমেরুপ্রভা বা 'অরোরা অস্ট্রালিস' বলে।
(126) অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রে কোন কোন প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়?
অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রে পেঙ্গুইন, সামুদ্রিক মাছ, তিমি, সিল, ক্রিল ইত্যাদি প্রাণীদের দেখতে পাওয়া যায়।
(127) অ্যান্টার্কটিকায় বৃষ্টি হয় না কেন?
অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম মহাদেশ। এখানে সারাবছরই তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকে। তাই এখানকার বায়ু জলীয় বাষ্পহীন ও শুষ্ক। সেইজন্য এখানে বৃষ্টিপাত হয় না।
(128) 'ক্রিল' কী?
ক্রিল হলো এক প্রকার সামুদ্রিক লাল কুঁচো চিংড়ি। বিজ্ঞানীদের অনুমান, অ্যান্টার্কটিকার সমুদ্রে প্রায় 60 হাজার কোটি টন ক্রিল আছে। এগুলি পেঙ্গুইন, সিল প্রভৃতির প্রধান খাদ্য। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ক্রিল ভবিষ্যতে পৃথিবীর প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
(129) এম্পেরর কী?
সবচেয়ে বড়ো প্রজাতির পেঙ্গুইন হলো এম্পেরর। এরা প্রায় 4 ফুট লম্বা হয় এবং ওজন প্রায় 30 কেজি হয়। এদের সারা শরীর চকচকে পালকে ঢাকা থাকে, যা জলে ভেজে না। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে এদের ত্বকের নীচে পুরু চর্বির স্তর থাকে।
(130) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের স্বাভাবিক উদ্ভিদ সম্পর্কে লেখো।
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের বেশিরভাগ অংশই সারাবছর বরফাবৃত থাকে। কেবলমাত্র গ্রীষ্মকালে সমুদ্রের তীরবর্তী কোনো কোনো অংশে সামান্য বরফ গলে গেলে সেখানে মস, লাইকেন, শ্যাওলা জন্মায়। এই সকল শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ লাল, সবুজ, হলুদ প্রভৃতি রঙের হয়।
(131) 'দক্ষিণ গঙ্গোত্রী' কী?
1982 খ্রিস্টাব্দের 9 জানুয়ারি প্রথম ভারতীয় অভিযাত্রী দল অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছে 'দক্ষিণ গঙ্গোত্রী' নামে ভারতের প্রথম গবেষণাকেন্দ্রটি স্থাপন করেন। বর্তমানে এই গবেষণাকেন্দ্রটি তুষারঝড়ের ফলে নষ্ট হওয়ায় এর পরিবর্তে দ্বিতীয় গবেষণাকেন্দ্র 'মৈত্রী' স্থাপন করা হয়েছে।
(132) 'মৈত্রী' কী?
'মৈত্রী' হলো অ্যান্টার্কটিকায় স্থাপিত ভারতের দ্বিতীয় গবেষণাকেন্দ্র। এই গবেষণাকেন্দ্রটি 1988 খ্রিস্টাব্দের 26 মার্চ ভারতের অষ্টম অভিযাত্রী দল 'দক্ষিণ গঙ্গোত্রী' থেকে 70 কিমি দূরে স্থাপন করেন।
(133) পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহের নাম কী? এটি কোথায় অবস্থিত?
পৃথিবীর দীর্ঘতম হিমবাহের নাম ল্যাম্বার্ট। এটি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে অবস্থিত।
(134) পৃথিবীর শীতলতম জনবসতিহীন স্থান কোনটি? এর তাপমাত্রা কত?
পৃথিবীর শীতলতম স্থান হল অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত রাশিয়ার গবেষণাকেন্দ্র ভস্টক। এই স্থানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -89.2° সে।
(135) আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড কোন মহাদেশকে বলা হয়? কেন?
অ্যান্টার্কটিকাকে পৃথিবীর সমস্ত দেশের আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড বলা হয়। কারণ, এই মহাদেশে আমেরিকা, নরওয়ে, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, আর্জেন্টিনা, ভারতসহ প্রায় 40টি দেশের 100 টিরও বেশি গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে।
(136) আন্টার্কটিকার পুরু বরফের স্তর গলে গেলে সমুদ্রের জলস্তর অনেকটা বেড়ে যাবে। এর ফলে সারা পৃথিবী জুড়ে কী কী সংকট দেখা দিতে পারে বলে তোমার মনে হয়?
বিশ্বউন্নয়নের ফলে বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার কারণে অ্যান্টার্কটিকার পুরু বরফের স্তর গলে যাচ্ছে। এর ফলে সমুদ্রের জলস্তর অনেকটা বেড়ে যাবে। সারা পৃথিবী জুড়ে এর ফলে যে সংকটগুলো দেখা দিতে পারে, সেগুলো হলো: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উপকূলের একটি বিরাট অংশ সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাবে। টোকিও, মুম্বাই, চেন্নাই-এর মতো সুন্দর শহরগুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। উপকূলের ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ নষ্ট হয়ে যাবে এবং উপকূল অঞ্চল সমুদ্রের তলায় তলিয়ে যাবে। লবণাক্ত জলে কৃষিজমি নষ্ট হয়ে যাবে এবং ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। বন্যা দেখা দেবে, মহাদেশের আয়তন কমে যাবে, এবং মহাসাগরের আয়তন বেড়ে যাবে।
(137) পৃথিবীর সুমেরু বা উত্তর মেরু অঞ্চলেও কি জমাট বরফের স্তর আছে? সেই বরফও কি গলছে?
পৃথিবীর সুমেরু বা উত্তর মেরু অঞ্চলে 6 মাস দিন থাকে এবং বাকি 6 মাস রাত্রি বিরাজ করে। সূর্যের আলো অত্যন্ত তির্যকভাবে পড়ার ফলে এখানকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকে। সুমেরু সাগরের জল জমে প্রায় 4 মিটারের মতো পুরু বরফের স্তর সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বউন্নয়নের কারণে সেই বরফও এখন ধীরে ধীরে গলছে।
(138) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের ভূ-প্রকৃতির বর্ণনা দাও।
অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম (আয়তনে) মহাদেশ। এটি দক্ষিণ মেরুকে কেন্দ্র করে অবস্থিত হওয়ায় এর 98% ভূমিভাগ সারা বছর বরফাবৃত থাকে। এটি প্রাচীন শিল্ড মালভূমির অংশ, যার উচ্চতা 2000-5000 মিটার। এটি পৃথিবীর উচ্চতম মহাদেশ। মহাদেশটি মালভূমিময় হলেও পশ্চিম দিকে সেন্টিনল, এলসওয়ার্থ, ট্রান্স অ্যান্টার্কটিকা পর্বতশ্রেণি এবং পূর্ব দিকে কুইন আলেকজান্দ্রা, কুইন মড রেঞ্জ প্রভৃতি পর্বতশ্রেণি অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরের রস উপসাগরের তীরে মাউন্ট এরেবাস অ্যান্টার্কটিকার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। ভিনসন ম্যাসিফ এই মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। পৃথিবীর দীর্ঘতম ল্যাম্বার্ট হিমবাহ এখানেই অবস্থিত। এছাড়া বার্ডমোর, মেসার্ভ ইত্যাদি বড়ো বড়ো হিমবাহও এখানে রয়েছে।
(139) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
দক্ষিণ মেরুকে কেন্দ্র করে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ অবস্থিত হওয়ায় এখানে সারাবছরই হিমশীতল আবহাওয়া থাকে। কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও মাঝে মাঝে একটানা তুষার ঝড় (ব্লিজার্ড) হয়। শীতকালে তাপমাত্রা থাকে -40° সে. থেকে -75° সে.। পৃথিবীর শীতলতম স্থান ভস্টক অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত, যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে -89.2° সে.। এই মহাদেশে মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই অন্ধকার বিরাজ করে। এই সময় অন্ধকার আকাশে সবুজ, নীল, লাল রামধনুর রঙের মতো আলোর ছটা দেখা যায়, যাকে কুমেরুপ্রভা বা অরোরা অস্ট্রালিস বলে।
(140) অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের জীবজগতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
চিরতুষারে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের অধিকাংশ ভূমিভাগ বরফাবৃত থাকায় এখানে কোনো গাছপালা দেখা যায় না। কেবলমাত্র গ্রীষ্মকালে সমুদ্রের তীরবর্তী কোনো কোনো অংশে সামান্য বরফ গলে গেলে সেখানে মস, লাইকেন, শ্যাওলা জন্মায়। এই সকল শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ লাল, সবুজ, হলুদ প্রভৃতি রঙের হয়। অ্যান্টার্কটিকার একমাত্র স্থায়ী বাসিন্দা হলো পেঙ্গুইন। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও পেঙ্গুইনের দল ঘুরে বেড়াতে পারে। অ্যান্টার্কটিকার চারপাশের সমুদ্রে প্রচুর মাছ, তিমি, সিল ইত্যাদি দেখা যায়। এখানে সমুদ্রে 'ক্রিল' নামের একধরনের চিংড়ি জাতীয় পোকা দেখা যায়, যেগুলি পেঙ্গুইনের প্রধান খাদ্য। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পাখির সমাবেশ (যেমন- স্কুয়া, গ্যাল ইত্যাদি) দেখা যায়।
(141) অ্যান্টার্কটিকাকে বিজ্ঞানের মহাদেশ বলা হয় কেন?
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ পৃথিবীর সমস্ত দেশের একটি আন্তর্জাতিক ভূখণ্ড। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, আর্জেন্টিনা, ভারতসহ প্রায় চল্লিশটি দেশের একশোটিরও বেশি গবেষণাকেন্দ্র আছে। সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা এই মহাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ু, খনিজ সম্পদ প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করছেন। 1959 খ্রিস্টাব্দের চুক্তি অনুসারে পৃথিবীর যেকোনো দেশ এই মহাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করার সুযোগ পাবে। তবে সেক্ষেত্রে গবেষণা হতে হবে মানবকল্যাণের স্বার্থে। পৃথিবীর কোনো দেশই অ্যান্টার্কটিকার সম্পদকে নিজস্ব অধিকারে রাখতে পারবে না। কেবলমাত্র বিজ্ঞানের স্বার্থে মহাদেশে গবেষণা করতে পারবে। তাই এই মহাদেশকে 'বিজ্ঞানের মহাদেশ' বলা হয়।
(142) কীভাবে অ্যান্টার্কটিকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে?
অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের প্রাকৃতিক আবহাওয়া সারা পৃথিবীর জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ব উন্নয়ন, ওজোন ক্ষয়, বায়ুদূষণ ইত্যাদির কারণে অ্যান্টার্কটিকার দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ সংকটের মুখে। ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অ্যান্টার্কটিকার বরফ একটু একটু করে গলে যাচ্ছে, ফলে মহাদেশের আয়তন কমছে। যার প্রভাবে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা ক্রিল, সিল, পেঙ্গুইন-এদের সবারই সংখ্যা কমছে। এর ফলেই অ্যান্টার্কটিকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য ব্যাপক মাত্রায় বিঘ্নিত হচ্ছে।