নবম শ্রেণী অ্যাসিড ক্ষার ও লবণ অধ্যায় অনুশীলনীর উত্তর | ছায়া প্রকাশনী ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ | Class 9 physical science

ছায়া প্রকাশনীর ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশের অ্যাসিড অধ্যায়ের অনুশীলনীর উত্তর | Class 9 physical science Chapter 4.4 acid base salt chhaya answer

তুমি কি নবম শ্রেণীতে পড়ো? তুমি কি ছায়া প্রকাশনীর ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশের অ্যাসিড অধ্যায়ের অনুশীলনীর উত্তর খুঁজছো? তাহলে তুমি সঠিক জায়গায় এসেছো। 

অ্যাসিড ক্ষার ও লবণ অধ্যায়ের অনুশীলনীর উত্তর (ছায়া)


Class 9 Chaya Publication Book ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ - এর 4.4 অধ্যায় - অ্যাসিড, ক্ষার ও লবন অধ্যায়ের  অনুশীলনীর সব উত্তর অভিজ্ঞ শিক্ষক ও বই অনুসরন করে লেখা হয়েছে।

অ্যাসিড ক্ষার ও লবণ অধ্যায়ের অনুশীলনীর উত্তর (ছায়া)

নবম নবম শ্রেণী ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ


Table of Contents

বিভাগ ক

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন (MCQ) : মান– 1

1. অ্যাসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাসটি হল –

(A) CH4 (B) NO2 (C) N2O (D) O3

উত্তর –  (B) NO2

বি: দ্র: –   SO2, NO2 ও  CO2 - এই তিনটি গ্যাস অম্ল বৃষ্টির জন্য দায়ী।

2. একটি ক্ষারীয় দ্রবণের pH হল –

(A)5.4 (B) 6.2 (C) 7.0 (D) 9.2

উত্তর –  (D) 9.2

বি: দ্র: –   ক্ষারীয় দ্রবণের pH এর এর মান 7 অপেক্ষা বেশি হয় এবং আম্লিক দ্রবণের pH এর মান 7 অপেক্ষা কম হয়। প্রশম দ্রবণের pH এর মান 7 হয়।

3. সোডিয়াম বাইকার্বনেট (NaHCO3) হল –

(A) শমিত লবণ

(B) আম্লিক লবণ

(C) ক্ষারকীয় লবণ

(D) কোনোটিই নয় 

উত্তর – (B) আম্লিক লবণ।

4. মিথাইল অরেঞ্জ-এর আম্লিক মাধ্যমে বর্ণ কীরূপ?

(A) লাল

(B) হলুদ

(C) বর্ণহীন

(D) গোলাপি লাল

উত্তর – (D) গোলাপি লাল

5. নীচের কোনটি ক্ষারকীয় অক্সাইড?

(A) P205

(B) KOH 

(C) CO2

(D) Na2O

উত্তর – (D) Na2O

6. লঘু HNO3, ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন করে

(A) NaNO2 + H2

(B) NaNO3 + H2

(C) NaH + NaNO3

(D) NaNO3 + H2O

উত্তর – (D) NaNO3 + H2O

আরো পড়: অধ্যায় অ্যাসিড কাকে বলে । বৈশিষ্ট্য । ধর্ম

আরো পড়: অধ্যায় - মিশ্রণের উপাদানের পৃথককরন অনুশীলনির প্রশ্ন উত্তর


বিভাগ – গ

অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন : মান 1

একটি শব্দ বা একটি বাক্যে উত্তর দাও।

1. অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণে উপস্থিত প্রকৃত ক্যাটায়নটির নাম ও সংকেত লেখো।

উত্তর – অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণে উপস্থিত প্রকৃত ক্যাটায়নটির নাম হাইড্রোক্সোনিয়াম (hydroxonium), সংক্ষেপে হাইড্রোনিয়াম। এর সংকেত H3O+ ।

2. একটি করে প্রশম ও অ্যাসিড লবণের উদাহরণ দাও ।

উত্তর – একটি প্রশম লবণ হলো সোডিয়াম সালফেট (Na2SO4)  এবং একটি অ্যাসিড লবণ হলো সোডিয়াম বাই সালফেট ( NaHSO4) ।

3. তুল্য পরিমাণ অ্যাসিডের সঙ্গে সমতুল্য পরিমাণ ক্ষারের বিক্রিয়ায় কী পরিবর্তন ঘটে ?

উত্তর – তুল্য পরিমাণ অ্যাসিডের সঙ্গে সমতুল্য পরিমাণ ক্ষারের বিক্রিয়ায় অ্যাসিড ও ক্ষারের ধর্ম পুরোপুরি লোপ পায় এবং লবণ ও জল উৎপন্ন হয়।

4. কেনো দ্রবণের pH বৃদ্ধি পেলে অ্যাসিড বা ক্ষার ধর্মের কীরূপ পরিবর্তন ঘটে ?

উত্তর – কোন দ্রবণের pH বৃদ্ধি পেলে অ্যাসিড ধর্ম লোপ পায় এবং ক্ষার ধর্ম বৃদ্ধি পায়।

5. অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে NaOH বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থগুলির নাম লেখো।

উত্তর – অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে NaOH (সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড) এর বিক্রিয়ায় সোডিয়াম অ্যালুমিনেট (NaAlO2) লবণ উৎপন্ন হয় ও হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।

2Al + 2NaOH → 2NaAlO2 + 3H2↑

6. দুটি গ্যাসের বিক্রিয়ায় একটি কঠিন পদার্থ উৎপন্ন হওয়ায় উদাহরণ দাও ।

আরও পড় : নবম শ্রেণির অ্যাসিড , ক্ষার ও লবন অধ্যায়ের MCQ মক টেস্ট

স্তম্ভ মেলাও

বামস্তম্ভ ডানস্তম্ভ
(1) জারক অ্যাসিড (A) সালফিউরিক অ্যাসিড
(2) একক্ষারীয় অ্যাসিড (B) নাইট্রিক অ্যাসিড
(3) জৈব অ্যাসিড (C) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
(4) তীব্র জলাকর্ষী পদার্থ (D) অ্যাসেটিক অ্যাসিড

উত্তর –

বামস্তম্ভ ডানস্তম্ভ
(1) জারক অ্যাসিড (B) নাইট্রিক অ্যাসিড
(2) একক্ষারীয় অ্যাসিড (C) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
(3) জৈব অ্যাসিড (D) অ্যাসেটিক অ্যাসিড
(4) তীব্র জলাকর্ষী পদার্থ (A) সালফিউরিক অ্যাসিড


শূন্যস্থান পূরণ করো।

1. ক্ষার দ্রবণে মিথাইল অরেঞ্জ-এর বর্ণ ___ ।

উত্তর– হলুদ

2. ধূমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিড তীব্র ___ পদার্থ।

উত্তর– জারক।

3. সোডিয়াম বাইসালফেট একটি ___ লবণ। 

উত্তর– আম্লিক ।

4. 1 আয়তন ___ ও 3 আয়তন ___ এর মিশ্রণকে অম্লরাজ বলে। 

উত্তর – নাইট্রিক অ্যাসিড , হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড।

সত্য/মিথ্যা নিরূপণ করো।

1. বেঞ্জিন দ্রাবকে নীল লিটমাসের টুকরো নিমজ্জিত করে HCI গ্যাস চালনা করলে লিটমাসের বর্ণ লাল হয়। 

উত্তর– মিথ্যা।

2. কপারের সঙ্গে উত্তপ্ত ও গাঢ় H2SO4 এর বিক্রিয়ায় H2 গ্যাস উৎপন্ন হয়। 

উত্তর – মিথ্যা ।

[ কপারের সঙ্গে উত্তপ্ত ও গাঢ় H2SO4 এর বিক্রিয়ায় SO2 গ্যাস উৎপন্ন হয়। ]

3. জিংকের সঙ্গে উত্তপ্ত ও ঘন H2SO4 এর বিক্রিয়ায় SO2 গ্যাস উৎপন্ন হয়।

উত্তর – সত্য ।

4. অম্লবৃষ্টির জন্য দায়ী দুটি গ্যাস হল SO2 এবং NO2 

উত্তর – সত্য ।

বিভাগ গ

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন : মান – 2

1. সালফিউরিক অ্যাসিড শনাক্তকরণের একটি পদ্ধতি লেখো এবং মূল বিক্রিয়াটির সমীকরণ দাও।

উত্তর – 

2. কপার কুচি ও গাঢ় HNO3 মিশিয়ে উত্তপ্ত করলে কী উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়া দাও ।

উত্তর – কপার কুচি ও গাঢ় HNO3 মিশিয়ে উত্তপ্ত করলে নীল রঙের কিউপ্রিক নাইট্রেট ও বাদামী রং এর NO2 গ্যাস উৎপন্ন হয়।

Cu + 4HNO3 → Cu(NO3)2 + 2 NO2 + 2H2O

3. হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডে সিলভার নাইট্রেট দ্রবণ যোগ করলে কী ঘটে? বিক্রিয়া দাও

উত্তর – হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের সিলভার নাইট্রেট যোগ করলে সিলভার ক্লোরাইড এর সাদা অধক্ষেপ উৎপন্ন হয়।

HCl + AgNO3 → AgCl (সাদা) + HNO3

4. অম্লরাজ কী? এর ব্যবহার লেখো।

উত্তর – তিন আয়তন গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ও এক আয়তন গাঢ় নাইট্রিক এসিডের মিশ্রণ কে অম্লরাজ বা অ্যাকোয়া রিজিয়া বলে।

ব্যবহার : 

  • অ্যাকোয়া রেজিয়া বা অম্লরাজ  সোনা এবং প্লাটিনাম ধাতু দ্রবীভূত করতে ব্যবহার করা হয়।
  • এই ধাতবগুলির নিষ্কাশন এবং পরিশোধন করতে লাগে।
  • মেশিন এবং পরীক্ষাগার কাচের জিনিসপত্র থেকে ধাতু এবং জৈব পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

5. সিস্টেমিক ও নন-সিস্টেমিক অ্যান্টাসিড কী?

উত্তর – 

সিস্টেমিক অ্যান্টাসিড : যেসব অ্যান্টাসিড রক্তে শোষিত হয়ে দেহের অ্যাসিড–ক্ষার ভারসাম্য নষ্ট করে, তাদের সিস্টেমিক অ্যান্টাসিড বলে। যেমন - সোডিয়াম বাই কার্বনেট।

নন–সিস্টেমিক অ্যান্টাসিড : যেসব অ্যান্টাসিড ব্যবহার করলে রক্তে শোষিত হয় না বলে, দেহে অ্যাসিড-ক্ষার ভারসাম্য নষ্ট হয় না, তাদের নন–সিস্টেমিক অ্যান্টাসিড বলে। যেমন – অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড।

6. নিম্ন pH মাত্রায় দাঁতের ক্ষয় হয় কেন?

উত্তর – মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর ঠিকমতো মুখ না ধুলে দাঁতের ফাঁকে থাকা খাবার ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়োজিত হয়ে অ্যাসিড উৎপন্ন হয় । অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে একসময়  pH এর মান কমে গিয়ে 5.5 বা তার নিচে চলে যায়। ওই অ্যাসিডের সঙ্গে দাঁতের প্রধান উপাদান - ক্যালসিয়াম ফসফেটের বিক্রিয়ায় দাঁতের এনামেল ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে।

বিভাগ – ঘ

দীর্ঘ উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন : মান – 3

1. স্টোন ক্যানসার কী? এরূপ ঘটার কারণ কী?

উত্তর – অম্ল বৃষ্টির প্রধান উপাদান H2SO4 এর সঙ্গে মার্বেল পাথরের প্রধান উপাদান CaCO3 এর বিক্রিয়ায় মার্বেল পাথরের উপর পাতলা আস্তরণ সৃষ্টি হয় । ফলে পাথরের উজ্জ্বল্য কমে মলিন হয়ে যায়। প্রাকৃতিক কারণে এই অস্তরণ খসে পড়লে মার্বেলের গায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। একে স্টোন ক্যান্সার বা পাথরের কুষ্ঠ বলে।

2. বলয় পরীক্ষা কী? কী জন্য এটি ব্যবহৃত হয়? পরীক্ষাটিতে সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি লেখো।

উত্তর – বলয় পরীক্ষা : একটি টেস্ট টিউবে গাঢ় HNO3  নিয়ে ওর মধ্যে সদ্য প্রস্তুত Fe3SO4 দ্রবণ যোগ করা হল। এরপর টেস্ট lটিউবটিকে ঠান্ডা করে ওর গা বেয়ে  ধীরে ধীরে গাঢ় H2SO4 অ্যাসিড যোগ করা হলো। দেখা যাবে গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড ও নাইট্রিক অ্যাসিডের সংযোগস্থলে একটি বাদামী রং এর বলয় গঠিত হয়েছে। এই পরীক্ষাটিকে বলয় পরীক্ষা ( Ring test ) বলে।

6FeSO4 + 3H2SO4 + 2HNO3 → 3Fe2(SO4)3 + 2NO + 4H2O

FeSO4 + NO → [Fe(NO)SO4] (বাদামি বলয়)

3. রাসায়নিক সমীকরণসহ যে-কোনো একটি অ্যান্টাসিডের ক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।

উত্তর – অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড হলো একটি নন–সিস্টেমিক অ্যান্টাসিড। এটি অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে দ্রাব্য ধাতব লবণ ও জল গঠন করে।

বিক্রিয়া : Al(OH)3 + 3HCl → AlCl3 + 3H2O

4. উদাহরণসহ অ্যান্টাসিড কাকে বলে লেখো।

উত্তর– পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডকে প্রশমিত করে পাচক রসের pH এর মানকে উপযুক্ত স্তরে উন্নীত করার জন্য যে ক্ষারধর্মী পদার্থ ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যান্টাসিড বলে বা অম্লনাশক বলে।

5. পরীক্ষাগারে Acid burn বা Alkali burn হলে দ্রুত কী কী পদক্ষেপ নেবে?

উত্তর – গাঢ় ক্ষার বা অ্যাসিড দ্রবণ ত্বকের সংস্পর্শে এসে Acid burn বা Alkali burn হলে তৎক্ষণাৎ জল দিয়ে জায়গাটি বারবার ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়ার পর সালফাডাইয়াজিন জাতীয় মলম লাগানো যেতে পারে।

এমন ক্ষেত্রে কখনোই বাইরে থেকে ক্ষার বা অ্যাসিড ব্যবহার করে প্রশমিত করা উচিত নয়। কারণ সেক্ষেত্রে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপে অধিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

6. অবৃষ্টির কারণ, ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি উল্লেখ করো।

উত্তর – 

অম্লবৃষ্টির কারণ : SO2, NO2 ও CO2 ইত্যাদি কথা তো অক্সাইড গুলি বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও শিল্প কারখানা থেকে অত্যাধিক পরিমাণ নির্গত হওয়ার ফলে বাতাসে এগুলির পরিমাণ বেড়ে যায়। এগুলি বায়ুর অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্পের সঙ্গে বিক্রিয়া করে H2SO4, HNO3 ও H2CO3 অ্যাসিড গঠন করে। এইসব এসিড বৃষ্টির জলে দ্রবীভূত হয়ে ঝরে পড়ে।

ক্ষতিকারক প্রভাব

  1. অম্ল বৃষ্টির ফলে মাটির অম্লত্ব বেড়ে যায়। এতে মাটির অভ্যন্তরে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মাটির উর্বরতা কমে যায়।
  2. অম্ল বৃষ্টির ফলে পুকুর নদী ইত্যাদি জলাশয় এর অম্লত্ব বাড়ে ফলে জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষতি হয়।
  3. অম্ল যুক্ত জলের প্রভাবে মানুষের ত্বক চুল ও কোষের ক্ষতি হয়।
  4. অম্ল বৃষ্টির ফলে মার্বেল পাথর নির্মিত স্থাপত্য ও স্মৃতিসৌধের ক্ষয় হয়।
তথ্য সূত্র - (প্রশ্ন ) ঃ নবম শ্রেণী ভৌত বিজ্ঞান ও পরিবেশ ( ছায়া )

Post a Comment

Please Comment , Your Comment is Very Important to Us.