অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 8 । Class 8 Poribesh o bigyan - science Model Activity Task Part 8 New 2021

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 8 । Class 8 Poribesh o bigyan science Model Activity Task Part 8 New. 2021 চাপের SI একক

 অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮  এর সমস্ত প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব। এর আগেও আমরা 2020 সালের অষ্টম  শ্রেণী পরিবেশ ও বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর উত্তর প্রকাশ করেছিলাম যা তোমাদের খুবই পছন্দ হয়েছিল। তাই এবারও আমরা Class 8 History Model Activity Task Part 8 new 2021 নিয়ে আলোচনা করছি।

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 8


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট ৮


১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করো :

১.১ চাপের SI একক হলো – (ক) নিউটন (খ) নিউটন বর্গমিটার (গ) নিউটন/বর্গমিটার (ঘ) নিউটন/বর্গমিটার।

উত্তর: (গ) নিউটন/বর্গমিটার।

১.২ আইসোবারদের ক্ষেত্রে নীচের যে কথাটি ঠিক তা হলো এদের – (ক) ভর সমান (খ) প্রোটনসংখ্যা সমান (গ) নিউট্রনসংখ্যা সমান (ঘ) ভরসংখ্যা সমান।

উত্তর: (ঘ) ভরসংখ্যা সমান।

১.৩ যে কোশীয় অঙ্গাণুর মধ্যে পুরোনো জীর্ণ কোশকে ধ্বংস করার জন্য নানা ধরনের উৎসেচক থাকে তা হলো – (ক) মাইটোকনড্রিয়া (খ) রাইবোজোম (গ) নিউক্লিয়াস (ঘ) লাইসোজোম।

উত্তর: (ঘ) লাইসোজোম।

১.৪ যেটি তড়িৎবিশ্লেষ্য নয় সেটি হলো – (ক) সোডিয়াম ক্লোরাইড (খ) অ্যামোনিয়াম সালফেট (গ) গ্লুকোজ (ঘ) অ্যাসেটিক অ্যাসিড।

উত্তর: (গ) গ্লুকোজ।

১.৫ ডিম পোনা প্রতিপালন করা হয় যেখানে সেটি হলো – (ক) সঞ্জয়ী পুকুর (খ) হ্যাচারি (গ) পালন পুকুর (ঘ) আঁতুর পুকুর।

উত্তর: (ঘ) আঁতুর পুকুর

১.৬ মৌমাছিদের জীবনে চারটি দশার সঠিক ব্রুমটি হলো –

(ক) ডিম → পিউপা → → পূর্ণাঙ্গ
(খ) ডিম → লার্ভা → পূর্ণাঙ্গ → পিউপা
(গ) ডিম → লার্ভা → পিউপা → পূর্ণাঙ্গ
(ঘ) ডিম পূর্ণাঙ্গ → লার্ভা → পিউপা।
উত্তর: (গ) ডিম → লার্ভা → পিউপা → পূর্ণাঙ্গ

২. শূন্যস্থান পূরণ করো :

২.১ কোনো কঠিন অনুঘটককে গুঁড়ো করা হলে তার পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল ____ যায়।
উত্তর: বেড়ে ।

২.২ ______ কম্পনই বজ্রপাতের সময় শব্দ উৎপন্ন করে।
উত্তর: বায়ুর।

২.৩ ______ উপস্থিতির জন্য চা পানে শরীরে উদ্দীপনা আসে।
উত্তর: ক্যাফিনের।

৩. ঠিক বাক্যের পাশে √ আর ভুল বাক্যের পাশে 'x'চিহ্ন দাও :

৩.১ স্প্রিং তুলার সাহায্যে বস্তুর ওজন মাপা হয়।
উত্তর: ঠিক (√)
৩.২ জারণ ও বিজারণ বিক্রিয়া সবসময় একসঙ্গে ঘটে।
উত্তর: ঠিক (√)
৩.৩. সবুজ চায়ে ভিটামিন K পাওয়া যায়।
উত্তর: ঠিক (√)

৪. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

৪.১ এক কিলোগ্রাম ভরের বস্তুকে পৃথিবী কত পরিমাণ বল দিয়ে আকর্ষণ করে?

উত্তর: 1 কিলোগ্রাম ভরের বস্তুকে পৃথিবী 1×9.8 নিউটন = 9.8 নিউটন পরিমাণ বল দিয়ে আকর্ষণ করে।

৪.২ লঘু অ্যাসিড থেকে হাইড্রোজেন গ্যাস মুক্ত করার ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা অনুসারে কয়েকটি ধাতুকে সাজিয়ে দেওয়া হলো – Na, Fe, (H), Cu, Au। এই তথ্য থেকে সবচেয়ে তড়িৎধনাত্মক ধাতুটিকে চিহ্নিত করো।

উত্তর: সবচেয়ে তড়িৎ ধনাত্মক ধাতু হলো Na ।

৪.৩ চোখের রেটিনায় উপস্থিত কোন কোশ মৃদু আলোর দর্শনে সাহায্য করে?

উত্তর: চোখের রেটিনায় উপস্থিত দন্ডাকার রড কোষ মৃদু আলোয় দর্শনের সাহায্য করে।

৪.৪ আলুর যে এনজাইম হাইড্রোজেন পারক্সাইডকে জল ও অক্সিজেনে ভেঙে ফেলে তার নাম লেখ।

উত্তর: আলুর যে এনজাইম হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কে জল ও হাইড্রোজেনে ভেঙে ফেলে তার নাম হল ক্যাটালেজ।

৪.৫ বায়ুর মধ্যে দিয়ে তড়িৎচলাচল ঘটা সম্ভব কীসের জন্য?

উত্তর: বায়ুর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ চলাচল ঘটা সম্ভব জলীয় বাষ্পের জন্য। বায়ুর আদ্রতা খুব বেশি হলে বায়ুর মধ্যে দিয়ে তৈরি চলাচল ঘটা সম্ভব।

৪.৬ মুরগী পালনের একটি আধুনিক পদ্ধতি হলো 'ডিপ-লিটার'। 'লিটার' কী?

উত্তর: বিচালি বা ছোট ছোট করে কাটা খড়, কাঠের গুঁড়ো , শুকনো পাতা, ধানের তুষ ইত্যাদি ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে মুরগির জন্য যে শয্যা তৈরি করা হয় তাকে লিটার বলে।

৫. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও :

৫.১ কুলম্বের সূত্রের গাণিতিক রূপটি লেখো এবং K রাশিটির SI একক উল্লেখ করো।

উত্তর: কুলম্বের সূত্রের গাণিতিক রূপ :কুলম্বের সূত্রের গাণিতিক রূপ

[ এখানে,
q1 ও q2 → তড়িৎ আহিত বস্তু দুটি আধানের পরিমাণ।
r → তড়িৎ আহিত বস্তু দুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব
K → কুলম্ব ধ্রুবক যা তড়িৎ আহিত বস্তু দুটির মধ্যবর্তী মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে।
F → তড়িৎ আহিত বস্তু দুটির মধ্যে ক্রিয়াশীল তড়িৎ বল। ]

▣  K এর SI একক হল নিউটন. মিটার2 কুলম্ব 2

৫.২ খুব শুকনো ও ঠান্ডা পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের দেহে কী কী বিশেষ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়?

উত্তর: খুব সুন্দর ঠাণ্ডা পরিবেশে বসবাসকারী প্রাণীদের দেহে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যায় -
(i) চামড়ার নিচে চর্বির পুরু আস্তরন থাকে।
(ii) কোন কোন প্রাণীর চামড়ার উপরে ঘন লোমের দুটি স্তর থাকে।
(iii) অনেক প্রাণীদের দেহে অ্যান্টি ফ্রিজ প্রোটিন থাকে যা কম উষ্ণতা ও শরীরের তরলকে জমতে দেয়না।
(iv) কোন কোন প্রাণীর পা এর গঠন বরফের জুতোর মত হয়।

৫.৩ উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায় কেন?

উত্তর: কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার উষ্ণতা বৃদ্ধি করা হলে বিক্রিয়ায় ব্যবহৃত বিক্রিয়াজাত পদার্থের অণুর গতি শক্তির মাত্রা বেড়ে যায়। জার করণে বিক্রিয়ক অনুগুলির মধ্যে সংঘর্ষের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায়।

৫.৪ ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে কী কী লক্ষণ দেখা যায়?

উত্তর : ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ গুলি হল -
  • জ্বর আসা ।
  • নাক দিয়ে জল পড়া বা সর্দি লাগা।
  • গলা ব্যথা করা ও কাশি।
  • পেশিতে ব্যথা অনুভব করা।
  • মাথাব্যথা।

৫.৫ জলে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের দ্রবীভূত হওয়া যে তাপগ্রাহী পরিবর্তন তা কী করে বুঝবে?

উত্তর: জলে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড দ্রবীভূত হওয়া যে, তাপগ্রাহী পরিবর্তন তা বুঝতে একটি পরীক্ষা করতে হবে। টেস্ট টিউবের মধ্যে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড কে জলে দ্রবীভূত করা হলে দেখা যাবে যে টেস্টটিউবের বাইরের কাজে ফোটা ফোটা আকারে জল জমেছে। টেস্টটিউবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বায়ুর জলীয় বাষ্প জল রূপে টেস্টটিউবের গায়ে জমেছে। এই পর্যবেক্ষণ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে এটি একটি তাপগ্রাহী পরিবর্তন।

৫.৬ যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ কী কী?

উত্তর: যক্ষা রোগের লক্ষণ গুলি হল -
(i) দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া।
(ii) প্রচন্ড ঘাম হওয়া।
(iii) ওজন ক্রমশ কমতে থাকা।
(iv) সাধারণত সন্ধ্যাবেলায় জ্বর আসা।

৫.৭ কোশপর্দার গঠন ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কোষের বাইরে যে অর্ধভেদ্য পর্দা থাকে তাকে কোষ পর্দা বলে। উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় প্রকার কোষে কোষ পর্দা থাকে।
কোষ পর্দাতে লিপিড এবং প্রোটিন উভয়ের স্তর থাকে। কোষ পর্দার মৌলিক গঠন হল ফসফোলিপিড এর দ্বি-স্তর , যা দুটি জলীয় অংশের মধ্যে একটি স্থিতিশীল বাধা তৈরি করে। কোষ পর্দার ক্ষেত্রে, এই অংশগুলি কোষের ভিতরে এবং বাইরে। ফসফোলিপিড দুই স্তরের মধ্যে এমবেড করা প্রোটিনগুলি অণুর নির্বাচনী পরিবহন এবং নির্দিষ্ট কাজগুলি সম্পাদন করে।

৬. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও :

৬.১ সমযোজী বন্ধন দিয়ে গঠিত জল, মিথেন এবং অ্যামোনিয়া অণুর প্রাথমিক গঠন কীরকমের তা এঁকে দেখাও।

জলের অণুর প্রাথমিক গঠন

জলের অণুর প্রাথমিক গঠন

মিথেনের অণুর প্রাথমিক গঠন

মিথেনের অণুর প্রাথমিক গঠন

অ্যামোনিয়ার অণুর প্রাথমিক গঠন

অ্যামোনিয়ার অণুর প্রাথমিক গঠন

৬.২ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার গঠন ও কাজ উল্লেখ করো।

উত্তর: এন্ডোপ্লাজমিক জালিকার গঠন:
এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা গঠনগত দিক থেকে তিন ধরনের হয়। যথা: (i) সিস্টার্নি , (ii) টিউবিউলস ও (iii) ভেসিকল।

▣ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকার কাজ:
(i) কোষের সাইটোপ্লাজম এর বিভিন্ন বিক্রিয়াকে আলাদা রাখে।
(ii) প্রোটোপ্লাজম কে যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করে।
(iii) অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা প্রোটিন করতে সাহায্য করে।

৬.৩ তামার আপেক্ষিক তাপ 0.09cal / g°C । 70 গ্রাম ভরের তামার টুকরোর উষ্ণতা 20°C বৃদ্ধি করতে হলে কত পরিমাণ তাপ লাগবে তা নির্ণয় করো।

উত্তর:
প্রদত্ত,
আপেক্ষিক তাপ (s) = 0.09cal / g°C
উষ্ণতা বৃদ্ধি (t) = 20° C
বস্তুর ভর (m) = 70 গ্রাম।

আমরা জানি
তাপের পরিমাণ (H) = mat
= 70 × 0.09 × 20 cal
= 126 cal

৬.৪ ‘‘জৈব সার অজৈব সারের চেয়ে ভালো’’ – বক্তব্যটির যথার্থতা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: জৈব সার ও জৈব সার এর চেয়ে ভালো কারণ :
(i) বারবার রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে মাটির গুণমান কমে যায় কিন্তু জৈব সার ব্যবহার করলে গুণমান কমে না বরং মাটির সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
(ii) জৈব সার ব্যবহারে উৎপাদিত ফসল রাসায়নিক সারের ব্যবহারে উৎপাদিত ফসলের তুলনায় স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
(iii) রাসায়নিক সার ব্যবহারের জমির জল ধারণ ক্ষমতা কমে যায় কিন্তু জৈব সার ব্যবহারে জল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
(iv) রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার ব্যবহারে মাটির গঠন উন্নত হয় ও অম্ল ও ক্ষারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
(v) রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার এর দাম কম এবং কৃষক নিজেও এই সার তৈরি করতে পারে।

৬.৫ কোনো তরলের বাষ্পায়নের হার কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

উত্তর: কোন তরলের বাষ্পায়ন এর হার নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে -
(i) তরলের উপরিতলের ক্ষেত্রফল যত বৃদ্ধি পাবে বাষ্পায়নের হার তত বৃদ্ধি পাবে।
(ii) পারিপার্শ্বিক উষ্ণতা যত বৃদ্ধি পাবে বাষ্পায়নের হার তত বৃদ্ধি পাবে।
(iii) তরলের উপর বায়ুমন্ডলের চাপ বাড়লে বাষ্পায়নের হার কমে যায়।
(iv) বিভিন্ন তরলের বাষ্পায়নের হার বিভিন্ন হয়। যে তরলের স্ফুটনাংক কম তাদের বাস্তবায়নের হার তুলনামূলকভাবে বেশি হবে। উদ্বায়ী তরলের বাষ্পায়ন এর হার সর্বাধিক।

৬.৬ কীভাবে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মাছের ডিমপোনা তৈরি করা হয়?

উত্তর: এই পদ্ধতিতে প্রতিটা সুস্থ, সবল স্ত্রী মাছের জন্য দুটো সুস্থ, পুরুষ মাছ নেওয়া হয়। মাছের মাথায় মানুষের মতোই একটা পিটুইটারি নামে একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থাকে। মাছের পিটুইটারি গ্রন্থির নির্যাস নিয়ে ওই বাছাই করা মাছদের ইনজেকশান দেওয়া হয়। আর পুরুষ ও স্ত্রী মাছের কোনটাকে কখন কতবার কতটা ইনজেকশান দেওয়া হবে তার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। পিটুইটারি ইনজেকশান দেওয়ার ফলে স্ত্রী মাছ ডিম আর পুরুষ মাছ শুক্রাণু নিঃসরণ করে। শুক্রাণু আর ডিম্বাণুর মিলনে ডিম পোনা তৈরি হয়।

Post a Comment

Please Comment , Your Comment is Very Important to Us.