JFM বা জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট হল একটি প্রকল্প । প্রকল্পটির সূচনা করা হয়েছিল স্থানীয় জনগণের দাবি মেনে ধ্বংসের হাত থেকে বনকে বাঁচাতে।এই প্রকল্পে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অরন্যের সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল।এই প্রকল্প গ্রামবাসীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিল যাতে তারা বনজ সম্পদ যেমন শালপাতা, রজন, ধুনা ইত্যাদি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে পারে।1971 সালের পর থেকে 1272 হেক্টর পরিমিত শাল জঙ্গলটি 10 বছরের মধ্যে বড় ঘন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে।এই প্রকল্পটি বনদপ্তর কে উৎসাহিত করে ও নতুন নতুন জায়গায় এইরকম প্রকল্প গড়ে তুলতে সাহায্য করে। বর্তমানে 84632 টি JFM কমিটি রয়েছে যারা প্রায় 17.33 মিলিয়ন হেক্টর জমির অরণ্য দেখাশোনা করছে।
▣ JFM বা জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কি?
JFM হল একটি জঙ্গল পুনরুদ্ধারের জন্য তৈরি একটি প্রকল্প যেটি সর্বপ্রথম 1971 সালে শুরু করেছিলেন ফরেস্ট অফিসার A K ব্যানার্জি।
▣ JFM এর পুরো কথা কি?
JFM এর পুরো কথা হলো জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট।
▣ JFM প্রথম কোথায় শুরু করা হয়েছিল?
পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার আরবারি শাল জঙ্গল পুনরুদ্ধারের জন্য 1971 সালে প্রথম এটি শুরু করা হয়েছিল।
▣ JFM এর সূচনা করেন কে?
ফরেস্ট অফিসার এ কে ব্যানার্জি।
▣ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে JFM এর ভূমিকা লেখ।
উত্তর:JFM এর ভূমিকা:
- 1. JFM এর পরিচালনার সময় স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় স্থানীয় উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতিকে সঠিক ভাবে চেনা যায় ও তাদের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়।
- 2. JFM এর মাধ্যমে স্থানীয় মানুষকে জীবনের সচেতন ও আগ্রহী করা যায়।
- 3. JFM এর সাহায্যে কোন নির্দিষ্ট স্থানের প্রকৃতিগত সমস্যার কারণ অনুসন্ধান ও তার প্রভাব সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
- 4. স্থানীয় মানুষকে JFM এর মাধ্যমে অংশগ্রহণ করি এবং রক্ষার কাজ সঠিকভাবে করা যায়।কারন তারাই জানে কোথায় কোন উদ্ভিদ বা প্রাণী পাওয়া যায় বা চোরা শিকারিদের আক্রমণ কিভাবে প্রতিহত করা যায়।
- 5. এর মাধ্যমে স্থানীয় মানুষদের সচেতন করে চোরা শিকারিদের হাত থেকে মূল্যবান উদ্ভিদ ও প্রাণী দের রক্ষা করা যায়।
- 6. JFM এর মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা থাকায় তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য এর উপর নির্ভরশীল হয়। ফলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে তাদের প্রচেষ্টা যথেষ্ট আন্তরিক হয়ে ওঠে।
- 7. এর মাধ্যমে স্থানীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটে ফলে দূষণ কমে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর আক্রমণ প্রতিহত হয়। ফলে সামগ্রিকভাবে বাস্তুতন্ত্রের উন্নতি হয়।