আজকে আমরা সপ্তম শ্রেণীর ভূগোলের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 3 এর প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব। এই অ্যাক্টিভিটি টাস্ক টি সম্পূর্ণরূপে নদী অধ্যায় থেকে গৃহীত। তাহলে চলো শুরু করা যাক:
সপ্তম শ্রেণী ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পার্ট 3 |অধ্যাায়ঃ নদী
১. নিচের বিকল্পগুলি থেকে সঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে উত্তরটি লেখ:
ক) শাখা নদী বোঝাতে গেলে নিচের সঠিক ছবিটি হলো:

খ) নিচের উল্লেখ করা ভূমিরূপ গুলির মধ্যে বেমানান হলো:
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ / জলপ্রপাত / গিরিখাত / ক্যানিয়ন
উত্তর: অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ।
২) গিরিখাত ও ক্যানিয়ন এর মধ্যে পার্থক্য গুলি উল্লেখ করো।
উত্তর:
গিরিখাত | ক্যানিয়ন |
---|---|
1. উচ্চগতিতে নদীর অধিক নির্ণয় কম্পাস এর ফলে গিরিখাত সৃষ্টি হয়। | 1. উচ্চগতিতে নদীর কেবলমাত্র নিম্ন ক্ষয়ের ফলে ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয়। |
2. আর্দ্র ও শুস্ক উভয় পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়. | 2. কেবলমাত্র শুষ্ক পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়। |
3. আকৃতি ইংরেজি V কিংবা 'I' অক্ষরের মতো। | 3. আকৃতি ইংরেজি ' অক্ষরের মতো |
4. সব গিরিখাত ক্যানিয়ন নয়। | 4. সব ক্যানিয়ন- ই গিরিখাত। |
5. যেমন পেরুর ক্যানন দ্য কলকা নদী গিরিখাত। | 5. যেমন কলোরাডো নদীর গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। |
৩) নদীর উচ্চগতি ,মধ্যগতি ও নিম্নগতির সাথে মূলত ক্ষয়, পরিবহন ও সঞ্চয় কাজ যথাক্রমে প্রাধান্য পায় কেন উল্লেখ করো ।
উত্তর: নদী মূলত বয়ে যাওয়া জলধারা। নদীর গতি 3 প্রকার যথাক্রমে উচ্চগতি, মধ্যগতি ,নিম্নগতি। এই তিন গতির মধ্যে পার্থক্যটা হলো ভূমির ঢাল, জলের পরিমাণ ও জলের গতিবেগ নিয়ে। উচ্চগতিতে ভূমির ঢাল অনেক বেশি হওয়ায় জলের বেগও অনেক বেশি থাকে , তখন নদী সমস্ত বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলে। ফলে উচ্চগতিতে ক্ষয়কার্য (Erosion) প্রাধান্য পায়।
মধ্য গতিতে ভূমির ঢাল তুলনামূলকভাবে একটু কম হয় কিন্তু নদীতে জলের পরিমাণটা অনেক বেশি হয় ফলে নুড়ি, কাকর , বালি ,পলি এইসব নদীর স্রোতের সঙ্গেই বয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা হয়। তাই মধ্য গতিতে নদীর বহনকাজ (Transportation) প্রাধান্য পায়।
নিম্নগতি বা বদ্বীপ প্রবাহে ভূমির ঢাল খুব কম থাকে ফলে নদীতে শক্তির পরিমাণ কম থাকে । বয়ে নিয়ে আসা নুড়ি, কাকর , বালি ,পলি নদীয়ার বয়ে নিয়ে যেতে পারে না। তাই নিম্নগতিতে নদীর সঞ্চয়কাজ (Deposition) প্রাধান্য পায়।
৪) অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কিভাবে গঠিত হয় তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: নদীর মধ্যগতির শেষদিকে বা নিম্নগতির প্রথমদিকে নদী একে বেঁকে প্রবাহিত হয়। একে মিয়েন্ডার বলে। মিয়েন্ডারে বহিবাক (বাইরের দিকের বাঁক) ও অন্তর্বাক ( ভিতরের দিকের বাঁক) সৃষ্টি হয়। নদীপ্রবাহের আঘাতে এই সময় বাইরের বাঁকের ক্ষয় হতে থাকে এবং ঠিক ততটাই ভিতরের বাঁকে সঞ্চয় হতে থাকে।

এইভাবে বাঁক আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় দুটি বাঁক কাছাকাছি চলে আসে ও শেষে মাঝের ভূমি ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে নদী আবার সোজাভাবে প্রবাহিত হতে থাকে। নদীর বাঁকটি নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হ্রদ সৃষ্টি হয়। এই হ্রদ ঘোড়ার খুরের মতো দেখতে বলে একে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে।
৫) একটি ছবি এঁকে তার মধ্যে নদীর উৎস মূল নদীর উপনদী ও শাখানদী মোহনা নদী অববাহিকা ও ধারণ অববাহিকা চিহ্নিত করো।
উত্তর: 
