
ডাল্টনের পরমাণুবাদের গুরুত্ব
ডালটনের পারমাণবিক তত্ত্বই ছিল পরমাণু এবং তাদের বৈশিষ্ট্যের নিরিখে সমস্ত বিষয় বর্ণনা করার প্রথম সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা। ডাল্টন তার তত্ত্বকে ভরের সংরক্ষণ সূত্র ভরের সংরক্ষণ নিয়ম এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছিলেন। তাঁর তত্ত্বের প্রথম অংশে বলা হয়েছে যে সমস্ত পদার্থ পরমাণু দিয়ে তৈরি, যা অবিভাজ্য।ডালটনের পারমাণবিক তত্ত্বটি হ'ল এখনও পর্যন্ত যা কিছু পরমাণু তত্ত্ব রচনা হয়েছে তা বোঝার শুরু।ডাল্টন ছাড়া আমরা পরমাণু কী তা জানতাম না। তাহলে দীর্ঘদিন আমাদের কোয়ান্টাম মেকানিকস এর ধারণাও অসম্পূর্ণ থাকতো । অণু তৈরি করে এমন জিনিসগুলিও অজানা থেকে যেতে দীর্ঘদিন।এই ব্যাপারে কোনও ধারণা তৈরি হতো না আমাদের । মানবতা অনেক বছর পিছনে চলে যেত ।
Tag: ডালটনের পরমানুবাদের গুরুত্ব
যদিও দুই শতাব্দী প্রাচীন, ডালটনের পারমাণবিক তত্ত্ব, তবুও আধুনিক রাসায়নিক তত্ত্ব অনুযায়ী বৈধ রয়েছে ডালটনের বেশ কিছু তত্ব যেমন :
- 1) সমস্ত পদার্থ পরমাণু দিয়ে তৈরি।
- 2) পরমাণুগুলি অবিভাজ্য এবং অবিনাশী।
- 3) দুটি বা আরও বেশি ধরণের পরমাণুর সংমিশ্রণে যৌগগুলি গঠিত হয়।
সুতরাং এটি পদার্থের রচনার প্রাথমিক জ্ঞান দেয়। সুতরাং এটি গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার: যেকোনো ধারণা সর্বপ্রথম সৃষ্টির জন্য তাকে শূন্য থেকে শুরু করতে হয় আর যেটা ডাল্টনের ক্ষেত্রে হয়েছিল। আজকে বিজ্ঞান অনেক উন্নতি করলেও আমরা যদি সিঁড়ির ধাপে ধাপে পিছনে যেতে থাকি তাহলে সর্বপ্রথম সিঁড়ি হিসেবে ডাল্টনের পরমাণুবাদ কেই পাব। তাই বিজ্ঞান যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন ডালটন ও তার পরমাণুবাদ কে স্বর্ণাক্ষরে মনে রাখবে।