যে সরকার দেশ-দশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নাগরিক পঞ্জি তৈরিতে এত ব্যাকুল, সকলের মুখে ভাত জোগানোর প্রতিজ্ঞায় তারা কর্মহীনদের তালিকা তৈরিতে আগ্রহী নয় কেন ?
![]() |
তৃতীয় পক্ষের চিত্র রেফারেন্স |
Unemployment at an all time high. #NaukariKiBaat pic.twitter.com/VeEz32aIfn— Vaibhav Walia (@vbwalia) January 23, 2020

![]() |
তৃতীয় পক্ষের চিত্র রেফারেন্স |
জেএনইউয়ের প্রতিবাদ মিছিল থেকে জামিয়ার সমাবেশ— প্রায় সর্বত্র কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে কাজ না-পাওয়ার আশঙ্কা উঠে এসেছে পড়ুয়াদের স্লোগানে। এনআরসি নয়, এনআরইউ (ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অব আনএমপ্লয়মেন্ট বা জাতীয় বেকারত্ব পঞ্জিকরণ) তৈরিই এখন দিল্লির পাখির চোখ হওয়া উচিত, মত অনেকের।
দেশের প্রবৃদ্ধির হার এমন হওয়া উচিত, যাতে তা বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি করে। যারা স্কুল-কলেজ থেকে বেরোচ্ছেন, তারা যেন চাকরির সুযোগ পান। শ্রমিক-কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে।সরকারের ভূমিকা ছাড়া এই বিপুল মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার যথাযথ রাষ্ট্রীয় নীতি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র শুধু বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখবে না, তাকে সবারটাই দেখতে হবে। সরকারের লক্ষ্য রাখতে হবে, তরুণ প্রজন্ম দেশের সম্পদ হতে পারে, তা যেন ‘অভিশাপ’ না হয়ে দাঁড়ায়। সরকারকে দেখতে হবে, কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থায় ত্রুটি আছে কি না। বিশ্বায়নের যুগে দক্ষতা ও যোগ্যতা ছাড়া বাজারে টিকে থাকা যাবে না, তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সরকারকে বৃত্তিমূলক কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে।
ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড ইত্যাদি কোনটাই দেশের কর্মসংস্থানের সুস্পষ্ট চিত্র তুলে ধরে না। তাই সবার আগে প্রয়োজন পূর্ণাঙ্গ বেকারত্ব-পঞ্জি তৈরি এবং নিয়মিত তাতে নতুন পরিসংখ্যান যোগ করার পক্ষেই সওয়াল করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে সকলের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। সবার পেটে ভাত, সবার হাতে কাজ চাই - এটাই এখন আম আদমির স্লোগানের অভিমুখ।
লেখক: দীপক সাহা ( সহকারি শিক্ষক , প্রাবন্ধিক)
disclaimer: This post is totally written by Dipak Saha and already published in 'Dinodarpan Patrika' ( এই পোস্টটির লেখক দীপক সাহা এবং এই পোস্টটি ইতিপূর্বেই দিনদর্পন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে)