আজকের এই পর্বে আমরা বৈদ্যডাঙ্গা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এর Model activity class 7 science নিয়ে আলোচনা করব।সমস্ত ক্লাসের model activity task answer পেতে আমাদের whatsapp ও telegram গ্রুপে যুক্ত হও। তাহলে চলো শুরু করা যাকঃ
Model activity class 7 science
বৈদ্যডাঙ্গা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় আমাদের পরিবেশ ও বিজ্ঞান মডেল অ্যাকটিভিটি টাস্ক
1. তাপ ও উষ্ণতার তিনটে পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
তাপ | উষ্ণতা |
---|---|
1. দুটি ভিন্ন উষ্ণতার বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে এলে যা হারায় বা যা বাড়তি পায় তাকেই তাপ বলা হয়। | . কোনো বস্তুর ঠান্ডা বা গরম অবস্থা যা দিয়ে প্রকাশ করা হয় তাকে বলে তাপমাত্রা বা উষ্ণতা। |
2. তাপ উষ্ণতার বা তাপমাত্রার কারণ। | 2. তাপমাত্রা হলো তাপের ফল। |
3. অবস্থার পরিবর্তনের সময় বস্তুর মোট তাপের পরিবর্তন হয়। | 3. অবস্থার পরিবর্তনের সময় বস্তুর তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে। |
4. বস্তু কর্তৃক গৃহীত বা বর্জিত তাপ ক্যালোরিমিটার যন্ত্রের দ্বারা পরিমাপ করা হয়। | 4. তাপমাত্রা থার্মোমিটার দ্বারা পরিমাপ করা হয়। |
2.আলোক রশ্মি প্রতিসরণের সময় যদি ঘনমাধ্যম থেকে লঘুমাধ্যম এ প্রবেশ করে তবে রশ্মির গতিপথের কিরূপ পরিবর্তন হবে চিত্রসহ বর্ণনা করো।
উত্তর: আলোক রশ্মি ঘনমাধ্যম ( যেমন- কাঁচ) থেকে লঘুমাধ্যম( যেমন- বায়ু) প্রবেশ করলে প্রতিসৃত রশ্মি টি অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়। অর্থাৎ , আপতন কোণ(i), প্রতিসরণ কোণের (r) চেয়ে ছোটো হয়।
3.খাদ্যের প্রধান উপাদান গুলির নাম লেখো। এবং প্রত্যেকটির একটি করে উৎসের নাম লেখো।
উত্তর: খাদ্যের প্রধান উপাদান গুলির নাম হলো,
খাদ্য উপাদান | উৎস |
---|---|
কার্বোহাইড্রেট | ভাত |
প্রোটিন | সয়াবিন |
লিপিড | বাদাম |
ভিটামিন | শাকসবজি |
খনিজ মৌল | মাছ |
খাদ্য তন্তু | ডাল |
জল | ডাবের জল |
ফাইটোকেমিক্যালস | পাকা ফল |
4. সংশ্লেষিত খাদ্য বেশি খাওয়া উচিত নয় কেন? সস্তার বিরিয়ানি তে কি ক্ষতিকারক পদার্থ মেশানো থাকে?
উত্তর: সংশ্লেষিত খাদ্য উপাদান গুলি সম্পূর্ণ কৃত্রিম।
বিভিন্ন রকম কৃত্রিম পদার্থ মেশানোর ফলে প্রাকৃতিক খাদ্যের মত খেতে হলেও স্বাস্থ্যের উপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। এইসব খাবার বেশি পরিমাণ খেলে হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ, বৃক্ক, হাড় ও মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।
এছাড়া এইসব খাবারে পুষ্টিগুণ না থাকলেও দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তাই এই ধরনের খাদ্য বেশি খাওয়া উচিত নয়।
▣ সস্তার বিরিয়ানি তে মেটানিল ইয়োলো মেশানো হয়।
মডেল অ্যাকটিভিটি টাস্ক 2 । Model activity task part 2
1. আকর্ষণ নয় বিকর্ষণ ই হলো চুম্বকত্ব এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: একটি দণ্ড চুম্বক কি না তা পরীক্ষা করতে হলে ওই দন্ডের একপ্রান্ত একটি চুম্বক শলাকার যে কোনো একটি মেরুর কাছে আনা হলো। এখন নিচের দুটি ঘটনার মধ্যে যে কোনো একটি ঘটতে পারে।
ঘটনা-1: চুম্বক শলাকার মেরুটি দন্ডের দিকে ঘুরে এলো অর্থাৎ আকর্ষণ ঘটল।
ঘটনা-2: চুম্বক শলাকার মেরু টি দন্ডের দিক থেকে দূরে সরে গেল অর্থাৎ বিকর্ষণ ঘটল।
এর থেকে দুটি সিদ্ধান্তে আসা যায়,
1. এক্ষেত্রে দন্ডটি চুম্বক কি না তা সঠিকভাবে বলা যাবে না। দন্ডটি চৌম্বক পদার্থ ও হতে পারে।
2. দন্ডটি নিশ্চিতভাবে চুম্বক।
▣ ব্যাখ্যা: চুম্বক ও চৌম্বক পদার্থের মধ্যে আকর্ষণ হয়। আবার , দুটি চুম্বকের বিষম মেরুর মধ্যেও আকর্ষণ হয়। কিন্তু বিকর্ষণ কেবলমাত্র চুম্বক এর দুটি সমমেরুর মধ্যেই সম্ভব।
অতএব , আকর্ষণ নয় বিকর্ষণ ই হলো চুম্বকত্ব এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
2. ফিউজ তারের কাজ কি? বায়ুশক্তি ব্যবহারের দুটি সুবিধা উল্লেখ করো।
উত্তর: বৈদ্যুতিক লাইন এ চিনামাটির হোল্ডার এ নিম্ন গলনাঙ্কের , কিন্তু উচ্চ রোধসম্পন্ন একটি পরিবাহী তার রাখা হয়। একে ফিউজ তার বলে।
কাজ: বৈদ্যুতিক সার্কিট এ ফিউজ তারের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ সার্কিট এ প্রবেশ করে। ফিউজ তার খুব কম ঊষ্ণতাতে ই গলে যায়। ফলে, কোনো কারণে খুব বেশি তড়িৎ এসে পড়লে, ফিউজ তারটি উত্তপ্ত হয়ে গলে যায় এবং বর্তনীতে তরিৎপ্রবাহ বন্ধ হয় । এতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার থেকে রক্ষা পায়।
▣ বায়ুশক্তি ব্যবহারের দুটি সুবিধা হলো:
1. বায়ুর কোনো অভাব নেই। আর সেইজন্যই বায়ু ফুরিয়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
2. একবার বায়ুকল বসানোর পর দীর্ঘদিন চলে। এতে জ্বালানি বা অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণ করার খরচ নেই।
3. বায়ুশক্তি পরিবেশবান্ধব হওয়ায় পরিবেশ দূষিত হয় না।
3. উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে আলো ও জলের ভূমিকা কি?
উত্তর:
▣ উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে আলো র ভূমিকা:
উদ্ভিদের মূলের মূলরোম দ্বারা শোষিত জল ও খনিজ লবণ উদ্ভিদের পাতায় পৌঁছায়। গাছের সবুজ পাতায় ক্লোরোফিল নামক সবুজ সবুজ রঞ্জক পদার্থ থাকে। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে ওই ক্লোরোফিল উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং জল ও বাতাস থেকে গৃহীত CO2 এর সহযোগ এ শর্করাজাতীয় খাদ্য (গ্লুকোজ) প্রস্তুত করে। সূর্যালোক থেকে প্রাপ্ত শক্তি এখানে খাদ্যের মধ্যে আবদ্ধ হয়। সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে এই খাদ্য প্রস্তুত হয় তাই একে বলে সালোকসংশ্লেষ ( স+আলোক)। মানুষ এবং অন্যান্য জীব প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদকে খাদ্যরূপে গ্রহণ করলে ওই খাদ্যমধ্যস্থ শক্তি তাদের দেহে পৌঁছে যায় এবং জীবদেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কাজে ব্যবহৃত হয় ।
উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে জলের ভূমিকা: উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে জল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য তৈরির শুরুতে সূর্যালোক দ্বারা সবুজ কণা (ক্লোরোফিল) সক্রিয় হয়ে জলকে ভেঙে অক্সিজেন উৎপাদন করে। যা পরিবেশ দূষণ রোধ করে। জল উদ্ভিদদেহে খাদ্য ও খনিজ লবণ পরিবহনে সাহায্য করে। উৎপন্ন শর্করাজাতীয় খাদ্যের মৌলিক উপাদান হাইড্রোজেন (H) আসে জল থেকে।
4. একটি আদর্শ মূলের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
(Answer will be updated soon)
মডেল অ্যাকটিভিটি টাস্ক 3 । Model activity task part 3
1. দৈনন্দিন জীবনে স্থিতিজাড্য ও গতিজাড্য এর দুটি প্রভাব উল্লেখ করো।
উত্তর: দৈনন্দিন জীবনে স্থিতিজাড্যের প্রভাব: গাছের কাণ্ড বা ডাল ধরে নাড়া দিলে ডালগুলিতে গতির সৃষ্টি হয়, অথচ স্থিতিজাড্যের জন্য ফলগুলি তাদের অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করে। এই কারণে ফল গুলো বোঁটা থেকে খসে যায় এবং অভিকর্ষের প্রভাবে নিচে পড়ে।
দৈনন্দিন জীবনে গতিজাড্যের প্রভাব: দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীরা দৌড় শেষ করার ( ফিনিশিং লাইনে এসে পৌঁছানো) সঙ্গে সঙ্গেই থেমে যেতে সক্ষম হয় না, আরো কিছু দূরত্ব অতিক্রম করার পর তবেই স্থিরাবস্থায় আসে।
2. নিম্নলিখিত যৌগগুলির সংকেত লেখো।
ক) ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড: MgO
খ) সোডিয়াম সালফাইড: Na2S
গ) ক্যালসিয়াম বাইকার্বনেট: Ca (HCO3)2
3. ফুলের পাপড়ি রঙিন ও গন্ধযুক্ত হওয়ার কারণ কি?
উত্তর: ফুলের পাপড়ি রঙিন ও গন্ধযুক্ত হয় এর ফলে বিভিন্ন পতঙ্গ রা আকৃষ্ট হয় । ফলে তারা ফুলে বসে এবং ফুলের পরাগ তাদের দেহে লেগে যায় যা তাদের দেহের মাধ্যমে অন্য ফুলের উপর গিয়ে পড়ে এইভাবে পরাগযোগের মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশবিস্তার হয় । এই কারণে ফুলের পাপড়ি রঙিন ও গন্ধযুক্ত হয়।
4. 'পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালা করে'- এর কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পেঁয়াজে ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত উদ্বায়ী ( যা সহজে বাষ্পীভূত হয়, volatile) যৌগ থাকে। পেয়াজ কাটার সময় ওই যৌগ বাষ্পীভূত হয়ে যৌগের অণুগুলো ব্যাপন প্রক্রিয়ার দ্বারা বাতাসের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই উদ্বায়ী যৌগে র অণুগুলো আমাদের চোখ, নাক, অশ্রুগ্রন্থির মিউকাস পর্দার সংস্পর্শে এলে জ্বালার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
[Answer written by Dipshikha , Science Dep, Bsc . ]