অধঃক্ষেপন কাকে বলে | জলীয় বাষ্প থেকে কিভাবে বৃষ্টি হয়

অধঃক্ষেপণ কি ? বৃষ্টিপাত কাকে বলে ? বায়ুমণ্ডলের জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তরল ও কঠিন অবস্থায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভূপঠে নেমে এলে তাকে অধঃক্ষেপণ বা বৃষ্টিপাত বলে। সব মেঘ থেকেই বৃষ্টি হয় না । বৃষ্টিপাতের জন্য প্রয়োজন হয় : ১) জলীয়বাষ্পপূর্ণ সম্পৃক্ত বায়ু, ২) বায়ুর ওপরে ওঠার প্রবণতা ৩) সেই বায়ুকে শীতল করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ।
অধঃক্ষেপন , বৃষ্টিপাত এই দুটি শব্দের মধ্যে কমপক্ষে একটা শব্দ সকলেরই পরিচিত।কিন্তু আপনারা কি জানেন এই অধঃক্ষেপনের ই একটা রূপ হল বৃষ্টিপাত। আজকে আমরা আলোচনা করব অধঃক্ষেপণ ও তার প্রকারভেদ নিয়ে।

অধঃক্ষেপন এর চিত্র লোড হচ্ছে
অধঃক্ষেপন : বৃষ্টিপাত

অধঃক্ষেপণ কি ? বৃষ্টিপাত কাকে বলে ?

বায়ুমণ্ডলের জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তরল ও কঠিন অবস্থায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভূপঠে নেমে এলে তাকে অধঃক্ষেপণ বা বৃষ্টিপাত বলে।


সব মেঘ থেকেই বৃষ্টি হয় না । বৃষ্টিপাতের জন্য প্রয়োজন হয় :
  • ১) জলীয়বাষ্পপূর্ণ সম্পৃক্ত বায়ু,
  • ২) বায়ুর ওপরে ওঠার প্রবণতা
  • ৩) সেই বায়ুকে শীতল করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ।

বৃষ্টিপাতের প্রক্রিয়া কিভাবে হয়

বাতাস শীতল হলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেড়ে যায়। তবে লবণকণা ও সমধর্মী কণার দ্রবণ প্রভাবের জন্য আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100 শতাংশ পৌঁছানোর অনেক আগে থেকে এদের আশ্রয়কারী জলকণা ঘনীভূত হতে শুরু করে এবং দ্রুত বড় হতে থাকে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা 100 শতাংশের কাছাকাছি এলে এই বড়াে জলকণাগুলি লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র জলকণাকে আকর্ষণ করে অধিকতর বড়াে হয় এবং অবশেষে বৃষ্টিবিন্দুতে পরিণত হয়। এ ছাড়া উল্লম্ব মেঘের ওপরের স্তরে অতি শীতল জলবিন্দু বরফকণায় পরিণত হয়। মেঘের মধ্যে এই ভারী জল বিন্দু ও বরফ কণা ভেসে না থাকতে পেরে মাধ্যাকর্ষণের টানে অধঃক্ষেপরূপে ভূপৃষ্ঠে নেমে আসে।

বিভিন্ন প্রকার অধঃক্ষেপণ:

অধঃক্ষেপন সাধারণত ছয় প্রকার যেমনঃ
  • 1. বৃষ্টিপাত [Rainfall]
  • 2. তুষারপাত [Snowfall]
  • 3. শিলাবৃষ্টি [Hail]
  • 4. স্লিট [Sleet]
  • 5. শিশির [Dew]
  • 6. তুহিন [Frost]