ডিএনএ কিভাবে গঠিত হয় | ডিএনএ এর গঠন | DNA এর রাসায়নিক গঠন

একটি DNA অনু কীভাবে গঠিত হয় ডিএনএ এর রাসায়নিক উপাদান যেহেতু ডিএনএ এর মনোমার হলো নিউক্লিওটাইড তাই নিউক্লিওটাইড এর উপাদান হলো ডিএনএ এর উপাদান। নিউক্লিওটাইড / ডিএনএ এর গঠনগত উপাদান: একটি পেন্টোজ শর্করা : যা ডিঅক্সিরাইবোজ নামে পরিচিত। রাইবোজ শর্করা তে দুই নম্বর কার্বনের হাইড্রোক্সিল গ্রুপ থাকলেও ডিঅক্সিরাইবোজ গ্রুপে শুধু হাইড্রোজেন থাকে অর্থাৎ অক্সিজেন থাকে না। তাই ডিঅক্সি নামকরণ করা হয়েছে। নাইট্রোজেন বেস : ডিএনএতে পিউরিন ও পাইরিমিডিন এই দুই প্রকারের নাইট্রোজেন বেস থাকে। পিউরিন বেসে দুটি করে ষড়ভুজাকার গঠন থাকে অন্যদিকে পিরিমিডিন বেস একটি করে ষড়ভূজাকার গঠন থাকে। পিউরিন বেস দুটি হলো অ্যাডেনিন ও গুয়ানিন এবং পিরিমিডিন বেস দুটি হল সাইটোসিন ও থাইমিন। ফসফেট গ্রুপ : ডিএনএতে ফসফরিক এসিড ফসফেট গ্রুপ PO43- রূপে যুক্ত থাকে। ডিঅক্সিরাইবো শর্করা ফসফেট ও নাইট্রোজেন বেস মিলে তৈরি হয় নিউক্লিওটাইড।শুধুমাত্র ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা ও নাইট্রোজেন বেস মিলে তৈরি হয় নিউক্লিওসাইড। সুতরাং নিউক্লিওসাইড এর সাথে ফসফেট গ্রুপ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় নিউক্লিওটাইড। বিজ্ঞানী ওয়াটসন ও ক্রিকের ডিএনএ-এর দ্বিতন্ত্রী নকশা বিজ্ঞানী ওয়াটসন ও ক্রিক 1953 সালে ডিএনএ অনুর দ্বিতন্ত্রী নকশা প্রণয়ন করেন।এতে বহু নিউক্লিওটাইড যুক্ত দুটি পরস্পরকে পেচিয়ে সিঁড়ির মত আকার ধারণ করে। সিড়ির হাতল দুটি শর্করা এবং ফসফরিক অ্যাসিড বা ফসফেট গ্রুপ নিয়ে গঠিত। Image is losding ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা ও নাইট্রোজেন যুক্ত হয়ে তৈরি হয় নিউক্লিওসাইড। নিউক্লিওসাইড এর সাথে ফসফেট গ্রুপ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় নিউক্লিওটাইড। অ্যাডেনিন ডিএনএ অনুর দ্বিতন্ত্রী নকশা
ডিএনএ জীব বিদ্যার একটি খুবই চর্চিত শব্দ।সম্ভবত অনেকেই মনে করেন যে ডিএনএ কোষকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। ডিএনএ এর প্রধান কাজ হল জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য বহন করা।

আজকের এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন যে ডিএনএ আসলে কিভাবে গঠিত হয়।

Image is loading

ডিএনএ যার পুরো কথা হলো ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড।ডিএনএ আসলে একটি পলিমার। ডিএনএ নিউক্লিওটাইড এর শৃংখল দ্বারা গঠিত অর্থাৎ নিউক্লিওটাইড হলো ডিএনএ এর মনোমার।

ডিএনএ এর রাসায়নিক উপাদান

যেহেতু ডিএনএ এর মনোমার হলো নিউক্লিওটাইড তাই নিউক্লিওটাইড এর উপাদান হলো ডিএনএ এর উপাদান।
নিউক্লিওটাইড / ডিএনএ এর গঠনগত উপাদান:
একটি পেন্টোজ শর্করা :
যা ডিঅক্সিরাইবোজ নামে পরিচিত। রাইবোজ শর্করা তে দুই নম্বর কার্বনের হাইড্রোক্সিল গ্রুপ থাকলেও ডিঅক্সিরাইবোজ গ্রুপে শুধু হাইড্রোজেন থাকে অর্থাৎ অক্সিজেন থাকে না। তাই ডিঅক্সি নামকরণ করা হয়েছে। এই শর্করার অনুতে পাঁচটি কার্বন পরমাণু থাকে বলে একে পেন্টোজ শর্করা বলে।

নাইট্রোজেন বেস :
ডিএনএতে পিউরিন ও পাইরিমিডিন এই দুই প্রকারের নাইট্রোজেন বেস থাকে। পিউরিন বেসে দুটি করে ষড়ভুজাকার গঠন থাকে অন্যদিকে পিরিমিডিন বেস একটি করে ষড়ভূজাকার গঠন থাকে।
পিউরিন বেস দুটি হলো অ্যাডেনিন ও গুয়ানিন এবং পিরিমিডিন বেস দুটি হল সাইটোসিন ও থাইমিন।

ফসফেট গ্রুপ : ডিএনএতে ফসফরিক এসিড ফসফেট গ্রুপ PO43- রূপে যুক্ত থাকে।



ডিঅক্সিরাইবো শর্করা ফসফেট ও নাইট্রোজেন বেস মিলে তৈরি হয় নিউক্লিওটাইড।শুধুমাত্র ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা ও নাইট্রোজেন বেস মিলে তৈরি হয় নিউক্লিওসাইড।
সুতরাং নিউক্লিওসাইড এর সাথে ফসফেট গ্রুপ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় নিউক্লিওটাইড।

বিজ্ঞানী ওয়াটসন ও ক্রিকের ডিএনএ-এর দ্বিতন্ত্রী নকশা


বিজ্ঞানী ওয়াটসন ও ক্রিক 1953 সালে ডিএনএ অনুর দ্বিতন্ত্রী নকশা প্রণয়ন করেন।এতে বহু নিউক্লিওটাইড যুক্ত দুটি পরস্পরকে পেচিয়ে সিঁড়ির মত আকার ধারণ করে। সিড়ির হাতল দুটি শর্করা এবং ফসফরিক অ্যাসিড বা ফসফেট গ্রুপ নিয়ে গঠিত।

Image is losding


ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা ও নাইট্রোজেন যুক্ত হয়ে তৈরি হয় নিউক্লিওসাইড। নিউক্লিওসাইড এর সাথে ফসফেট গ্রুপ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় নিউক্লিওটাইড।

অ্যাডেনিন থাইমিন এর সঙ্গে দুটি হাইড্রোজেন বন্ড এবং গুয়ানিন সাইটোসিন এর সঙ্গে তিনটি হাইড্রোজেন বন্ড দিয়ে যুক্ত থাকে।