বাটন ক্লিক করে নিজের ক্লাসের প্রশ্ন উত্তর , মকটেস্ট খুজে নাও ! সাবস্ক্রাইব করুন

সপ্তম শ্রেণী অধ্যায় 6 । পরিবেশের সজীব উপাদান এর গঠনগত বৈচিত্র ও কার্যগত প্রক্রিয়া | Class seven life science question answer

সপ্তম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান এর অধ্যায় 6 । পরিবেশের সজীব উপাদান এর গঠনগত বৈচিত্র ও কার্যগত প্রক্রিয়া

সপ্তম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান এর আজকে একটি প্রশ্ন উত্তর পর্ব নিয়ে এসেছি। এই পর্বে আমরা ষষ্ঠ অধ্যায়, পরিবেশের সজীব উপাদান এর গঠনগত বৈচিত্র ও কার্যগত প্রক্রিয়া এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের এই পোস্টটি যদি কেউ সম্পূর্ণরূপে পড়ে মনে রাখতে পারে তাহলে এই অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্নই আশাকরি পারবে।

সপ্তম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান এর অধ্যায় 6 । পরিবেশের সজীব উপাদান এর গঠনগত বৈচিত্র ও কার্যগত প্রক্রিয়া

Class seven life science question answer

১. উদ্ভিদের মূল এর দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
Ans. উদ্ভিদের মূল এর দুটি হল-

  • উদ্ভিদের মূলে কোন গাট বা নোড নেই।
  • উদ্ভিদের মূলের নিচের দিকে ডগায় একটা টুপির মত অংশ (মূলত্র) আর কিছুটা উপরের দিকে রোয়া রোয়া মূলরোম থাকে।

২. আদর্শ মুলের কয়টি অংশ ও কি কি?
Ans.  আদর্শ মূলের চারটি অংশ। যথা:

  • মূলত্র অঞ্চল
  • বর্ধনশীল অঞ্চল
  • মূলরোম অঞ্চল
  • স্থায়ী অঞ্চল

৩. মূলরোম এর কাজ কি?
Ans. মূলরোমের কাজ হল মাটি থেকে জল ও নানান খনিজ পদার্থ শোষণ করা।

৪. মুলত্রের এর কাজ কি?
Ans. মূলত্র এর কাজ হলো মূলের মাটিতে প্রবেশের সময় শক্ত আঘাত থেকে মূলের নরম অংশকে বাঁচানো।

৫. মূল এর দুটি কাজ লেখ।

Ans. মূল এর দুটি কাজ হল-

  • মাটির সাথে গাছকে শক্তভাবে আটকে রাখা।
  • মাটি থেকে জল ,খনিজ লবণ ইত্যাদি শোষণ করা।

৬. উদ্ভিদের মূল সবুজ হয় না কেন?
Ans. উদ্ভিদের মূলে ক্লোরোফিল থাকে না বলে উদ্ভিদের মূল সবুজ হয় না।

৭. উদ্ভিদের মূলে সালোকসংশ্লেষ হয় না কেন?
Ans. উদ্ভিদের মূলে ক্লোরোফিল থাকে না বলে উদ্ভিদের মূলে সালোকসংশ্লেষ হয় না।

৮. সালোকসংশ্লেষে সক্ষম একটি মুলের নাম লেখ।
Ans. গুলঞ্চের আত্তীকরণ মূল।

৯. ধান গাছে কি ধরনের মূল দেখা যায়?
Ans. অস্থানিক মূল।

১০. কান্ডের দুটি পর্বের মাঝের অংশকে কি বলে?
Ans. পর্বমধ্য বলে।

▣ বাম স্তম্ভের সঙ্গে ডান স্তম্ভ মেলাও

বাম স্তম্ভডান স্তম্ভ
1. বীজ ত্বকa. বীজপত্র দুটিকে একসাথে আটকে রাখা।
2. ভ্রুণb. উদ্ভিদের বিটপ তন্ত্র তৈরি হয়।
3. বীজপত্রc. উদ্ভিদের মূল তন্ত্র তৈরি হয়।
4. ভ্রুণমুকুলd. শস্য সঞ্চিত রাখা।
5. ভ্রুণমূলe. ভ্রূণ সহ বীজের সমস্ত অংশকে রক্ষা করা।

১১. পাতা ও কান্ডের মাঝে যে কোন তৈরি হয় তাকে কি বলে?
Ans. কক্ষ বা অ্যাক্সিল বলে।

১২. বিটপ কাকে বলে?
Ans. উদ্ভিদের কান্ড, শাখা-প্রশাখা বা ডাল ,পাতা ,ফুল ,ফল নিয়ে গাছের যে অংশ তৈরি হয় তাকে বলে।

১৩. কচুরিপানার খর্ব ধাবক কোন অঙ্গের রূপান্তরিত রূপ?
Ans.  কান্ডের রূপান্তরিত রূপ।

১৪. দূষিত বায়ুর সংস্পর্শে লাইকেন এর রং কি হয়ে যায়?
Ans.  খয়েরি হয়ে যায়।

১৫. গাছের গুড়ি থেকে পরিবেশ দূষিত কিনা কিভাবে বুঝবে?
Ans.  গাছের গুঁড়ির উপরে সবুজ ছোপ ছোপ লাইকেন থাকে। বাতাস দূষণমুক্ত থাকলে লাইকেন এর রং সবুজ হয়। বাতাস বেশি দূষিত হলে লাইকেনের রং খয়েরী হয়ে যায়।

১৬. কলা পাতায় কি ধরনের শিরাবিন্যাস দেখা যায়?
Ans.  সমান্তরাল শিরাবিন্যাস।

১৭. পত্রফলক এর কাজ কি?
Ans.  পত্রফলক এর কাজ হল খাদ্য প্রস্তুত করা।

১৮. গ্যাসীয় পদার্থ আদান-প্রদান করা।
Ans.  বাষ্পমোচন করা।

১৯. পত্রবৃন্ত এর কাজ কি?
Ans.  পত্রবৃন্ত এর কাজ পত্রফলককে কান্ডের সাথে আটকে রাখা।

২০. পত্রমূলের কাজ কি?
Ans.  পাতাকে কান্ড বা শাখার সঙ্গে যুক্ত করা।

২১. একক পত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
Ans.  যে পাতা একটিমাত্র পত্রফলক দিয়ে তৈরি তাকে একক পত্র বলে। যেমন আম গাছের পাতা।

২২. যৌগিক পত্র কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
Ans.  যে পাতা একাধিক পত্রফলক দ্বারা গঠিত তাকে যৌগিক পত্র বলে। যেমন তেতুল পাতা।

২৩. ফুলের কোন অংশ ফলে পরিণত হয়?
Ans.  ডিম্বাশয়

২৪. ফুলের কোন অংশ বীজে পরিণত হয়?
Ans.  ডিম্বক

২৫. আদর্শ ফুলের কয়টি অংশ ও কি কি?
Ans.  আদর্শ ফুলের চারটি অংশ। যথা:

  • বৃতি
  • দলমন্ডল
  • পুংকেশর
  • গর্ভকেশর চক্র

২৬. বৃতির দুটি কাজ লেখ।

Ans.  বৃতির দুটি কাজ হল-

  • বৃতি কুড়ি অবস্থায় ফুলকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
  • বৃতি সবুজ হওয়ায় খাদ্য তৈরি করতে পারে।

২৭. সরল ফল কাকে বলে?
Ans.  যখন একটি ফুল থেকে একটি মাত্র ফল গঠিত হয় তখন তাকে সরল ফল বলে। যেমন আম।

২৮. আমের কয়টি অংশ ও কি কি?
Ans.  আমের তিনটি অংশ ।

  • বহিত্বক।
  • মধ্যত্বক।
  • অন্তত্বক ।

২৯. আমের কোন অংশ আমরা খাই?
Ans.  মধ্য ত্বক

৩০. একটি গুচ্ছিত ফলের উদাহরণ দাও।
Ans.  চালতা।

৩১. ডিম্বকরন্ধ্র এর কাজ কি?
Ans.  অঙ্কুরোদগমের সময় ডিম্বকরন্ধ্র এর মধ্য দিয়ে ভ্রুণমূল বেরিয়ে আসে।


৩২. স্কুটেলাম কাকে বলে?
Ans.  ভুট্টার বীজপত্র কে স্কুটেলাম বলে।

৩৩. কোলিওরাইজা কাকে বলে?
Ans.  ভ্রুণমুল এর আবরণীকে কোলিওরাইজা কাকে বলে।

৩৪. পাখির দ্বারা পরাগ মিলন হয় এমন একটি উদ্ভিদের উদাহরণ দাও।
Ans.  শিমুল।

৩৫. শামুক দ্বারা পরাগ মিলন হয় এমন একটি উদ্ভিদের উদাহরণ দাও।
Ans.  কচু

৩৬. পরাগমিলন কয় প্রকার ও কি কি?
Ans.  পরাগমিলন দুই প্রকার যথা স্বপরাগযোগ ও ইতর পরাগযোগ।

৩৭. স্বপরাগযোগ কাকে বলে?
Ans.  কোন ফুলের পরাগরেণু যখন ওই ফুলে কিংবা একই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে তখন সেই ঘটনাকে স্বপরাগযোগ বলে।

৩৮. ইতর পরাগযোগ কাকে বলে?
Ans.  কোন ফুলের পরাগরেণু যখন একই রকম অন্য উদ্ভিদের ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে তখন তাকে ইতর পরাগযোগ বলে।

৩৯. ইতর পরাগযোগ এর একটি সুবিধা লেখ।
Ans.  ইতর পরাগযোগ এর সুবিধা: ইতর পরাগযোগ এর নতুন বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব হয়।


৪০. ব্যাপন কাকে বলে?
Ans.  অনুদের অবিশ্রান্ত গতির জন্য গ্যাসীয় অবস্থায় বা দ্রবণে বেশি ঘনত্বের অংশ থেকে কম ঘনত্বের অংশে পদার্থের অণুর ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে ব্যাপন বা ডিফিউশন বলা হয়।

৪১. জেকবসন অর্গান কাকে বলে?
Ans.  সাপের মুখের ভিতর গন্ধের অনুভূতি যে অন্যের দ্বারা অনুভূত হয় তাকে জেকবস অর্গান বলে।

৪২. ফেরোমেন কি?
Ans.  ফেরোমেন হলো এক ধরনের উদ্বায়ী রাসায়নিক পদার্থ যা জীবজগতের হাতি , বাঘ সহ অন্যান্য তৃণভোজী ও মাংসাশী প্রাণীদের প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪৩. বদ্ধ নর্দমা বা সেপটিক ট্যাংকে যে বিষাক্ত গ্যাস জমে থাকে তা হল ____ ।
Ans.  হাইড্রোজেন সালফাইড।

৪৪. অভিস্রবণ কাকে বলে?
Ans.  অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে কম ঘনত্বের দ্রবন থেকে বেশি ঘনত্বের দ্রবণে দ্রাবকের অনুদের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাই হলো অভিস্রবণ বা অসমোসিস।

৪৫. অভিস্রবণ কয় প্রকার ও কি কি?
Ans.  অভিস্রবণ দুই প্রকার যথা অন্ত-অভিস্রবণ ও বহিঃ অভিস্রবণ।

৪৬. রসগোল্লার গাঢ় রস সহজে পচে না কেন?
Ans.  রসগোল্লার গাঢ় রসে কোন ব্যাকটেরিয়া জীবাণু নিঃসৃত উৎসেচক মিশতে পারে না।অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় রসগোল্লার গাঢ় রস থেকে জলের অনু জীবাণুর দেহে প্রবেশ করে ।তাই সহজে রসগোল্লা এর গাঢ় রস পচে না।

৪৭. কাঁচা মাছের নুন মাখিয়ে রোদে রেখে দিলে সুখ টি মাছ তৈরি করা যায় কেন?
Ans.  কাঁচা মাছের গায়ে নুন মাখিয়ে রেখে দিলে মাছের দেহ থেকে বহি অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় জল সহজেই দেহের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে এবং রোদ্রে বাষ্পীভূত হয়ে যায়।ফলে তাড়াতাড়ি মাছের দেহের ভেতরকার জল বাইরে বেরিয়ে আসে এবং আরো ভালোভাবে মাথা শুকিয়ে যায়।

৪৮. মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম কাকে বলে?
Ans.  বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় যদি বীজপত্র বীজ ত্বক ফাটিয়ে মাটির উপরে উঠে আসে তখন তাকে মৃদভেদী অঙ্কুরোদগম বলে। যেমন কুমড়ো, তেতুল ইত্যাদি বীজের অঙ্কুরোদগম।

৪৯. মৃদবর্তি অঙ্কুরোদগম কাকে বলে?
Ans.  বীজের অঙ্কুরোদগমের সময় যখন বীজ তকের আবদ্ধ বীজপত্র কখনোই মাটি ছেড়ে উপরে উঠে না আসলে তখন তাকে মৃদবর্তি অঙ্কুরোদগম বলে। যেমন মটর ,ছোলা ও আমের অঙ্কুরোদগম।

৫০. অঙ্কুরোদগমের শর্ত গুলি কি কি?
Ans.  আলো, বাতাস ও জল।

৫১. তাপমাত্রা কমলে ব্যাপন এর কি পরিবর্তন হয়?
Ans.  তাপমাত্রা কমলে ব্যাপন ধীরগতিতে ঘটে।

৫২. তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে কোনটির ব্যাপন প্রক্রিয়া দ্রুত ঘটে?
গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে ব্যাপন দ্রুত ঘটে।

৫৩. রক্তে শতকরা কত শতাংশ জল?
রক্তে শতকরা 90 শতাংশ জল।

৫৪. ORS এর পুরো কথা কি?
Ans.  ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন।

৫৫. এঁচোড় কি ধরনের ফল? 

উত্তর: যৌগিক ফল। 

৫৬. ব্যাপন ও অভিস্রবণের পার্থক্য লেখ।

বিষয় ব্যাপন অভিস্রবণ
পর্দার উপস্থিতি ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোন পর্দার প্রয়োজন হয়না। এটি মুক্ত অবস্থায় ঘটে। অভিস্রবণ প্রক্রিয়া অর্ধভেদ্য বা প্রভেদক ভেদ্য পর্দার প্রয়োজন হয়।
মাধ্যমের অবস্থা পদার্থের সব অবস্থার মধ্যেই ব্যাপন প্রক্রিয়া ঘটে। কেবলমাত্র ' কঠিনে - কঠিনে ' সবক্ষেত্রেই ব্যাপন ঘটে। অভিস্রবণ প্রক্রিয়া কেবলমাত্র তরলের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং শুধুমাত্র দ্রাবক অণুর ক্ষেত্রেই ঘটে।
প্রক্রিয়ার অভিমুখ এই প্রক্রিয়ায় পদার্থের গতিশীল অনুকূলে বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের দিকে যায়। এই প্রক্রিয়ায় দ্রাবক অনু কম ঘনত্ব যুক্ত স্থান থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
দ্রবণের প্রকৃতি ভিন্নপ্রকৃতির দ্রবণের মধ্যেও ব্যাপন ঘটতে পারে। কেবলমাত্র সমপ্রকৃতির দ্রবণের মধ্যে অভিস্রবণ ঘটে।


এই অধ্যায়ের উপর আমরা একটি মক টেস্ট প্রকাশ করেছি । এই অধ্যায়টি তোমার কেমন আয়ত্তে এসেছে তা জানার জন্য নিচের মক টেস্ট দেখ।

Read More :সপ্তম শ্রেণী পরিবেশ মক টেস্ট অধ্যায় 6 পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া

About the Author

Teacher , Blogger, Edu-Video Creator, Web & Android App Developer, Work under Social Audit WB Govt.

5 comments

  1. Full
    ফুল
  2. আমার ৭ম স্রেনির বিজ্ঞান ১০ম অধায় ৭৪ পেজ
  3. রূপান্তরিত কান্ড কাকে বলে
    1. যেসব কান্ড (তনা) তাদের স্বাভাবিক রূপ পরিবর্তন করে বিশেষ কোনও কাজ (যেমন খাদ্য সঞ্চয়, বিস্তার, রক্ষণ, আশ্রয়, উঠে থাকা ইত্যাদি) সম্পাদন করে, তাদেরকে রূপান্তরিত কান্ড বলে।

      উদাহরণ:
      আলু (Solanum tuberosum): খাদ্য সঞ্চয়ের জন্য রূপান্তরিত কান্ড – কন্দ (tuber)।

      আদা (Zingiber officinale): খাদ্য সঞ্চয়ের জন্য রূপান্তরিত ভূগর্ভস্থ কান্ড – গাঁঠকন্দ (rhizome)।

      পেয়াজ (Onion): কান্ড পাতার ভিতরে ছোট হয়ে গিয়ে খাদ্য সঞ্চয় করে – কন্দমূল বা বাল্ব (bulb)।

      ডাঁটা লতা (Pumpkin, Cucumber): কান্ড রূপান্তরিত হয়ে লতা বা আকর্ষিক তৈরি করে আশ্রয় নেয়।
  4. কাণ্ডের বৈশিষ্ট্য লেখো
Please Comment , Your Comment is Very Important to Us.