ভিআরপি দের জন্য সুখবর ! আপনারা ইতিপূর্বেই জানেন যে 2020 সালের জুন মাসে খাদ্য সরবরাহ বিভাগের উপভোক্তাদের কাছে খাদ্যশস্য বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ বেরিয়েছে 27 মে 2020। এমত অবস্থায় রেশনে দুর্নীতি কমাতে ও এই ব্যবস্থাকে সরল ভাবে চালাতে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা-ই মূল হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের।গ্রামীন সম্পদ কর্মী কথাটা আপনার কাছে নতুন মনে হলেও জেনে রাখুন VRP রাই আসলে গ্রামীন সম্পদ কর্মী। Village resource person শব্দটাই ছোট করে বললে হয় VRP ।
ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে একটি অর্ডার বের করা হয়েছে যেখানে এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির মনিটরিং করার জন্য গ্রামীন সম্পদ কর্মীদেরই বাছা হয়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন এই কাজের জন্য। ইতিমধ্যেই গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের কাছে প্রশিক্ষণের অর্ডার কপি ও পৌঁছে গেছে।
একজন উপভোক্তা বলেছিলেন,
উপরের বক্তব্যটিতে নিছকই চার প্যাকেট আটার ব্যবধান মনে হলেও সারা রাজ্যব্যাপী এই পরিবর্তন এক বিশাল প্রাপ্য ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করেন গ্রামীন সম্পদ কর্মী রা।
গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের একটি বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলেছেন জেলার ম্যাজিস্ট্রেট।
এই ট্রেনিংয়ে খাদ্যদ্রব্যের পরিমাপ ,কোয়ালিটি চেক ইত্যাদি সকল বিষয়ে আলোচনা হবে। এতে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা আরও ভালোভাবে এই ব্যবস্থাকে পরিচালনা করতে পারবে।
আপনারা হয়তো জেনেছেন যে করোনা মোকাবেলার কাজে ও তথ্য সংগ্রহে আশা কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন।এটা অস্বীকার করার নয় কিন্তু তাদের থেকেও বেশি পরিশ্রম করেছে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা।পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসার পরে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর অফিসে পৌঁছে দিয়েছেন গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা।তারা আসাদের থেকে কোন অংশেই কম পরিশ্রম দেয়নি বরং তাদের থেকে অনেক বেশি পরিশ্রম দিয়েছেন। কিন্তু এই পরিশ্রমের কথা বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত ঠিকমতো পৌঁছায় নি। কোথাও আবার গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের তুলে আনা তথ্যই আশাদের নাম করে পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়াও আমফান ঝড়ের পূর্বে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং ঝড় পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভিআরপিরা। ত্রাণশিবিরে খোঁজ রাখা এমনকি মানুষকে ঔষধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র প্রদান এই গ্রামীন সম্পদ কর্মী রায় করেছে।তাই এই সমস্ত কাজের পাশাপাশি আরেকটি কাজ করতে হবে গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই সালের পয়লা জুন থেকে কাজ চালু হবে।গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা প্রতিদিন রিপোর্ট কালেক্ট করবে এবং তাদের গ্রুপে জানাবে।রিয়েল টাইম ডাটা মনিটরিং এর জন্যই গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের এই কাজে রাখা হয়েছে।
ফুড এন্ড সাপ্লাই ডিপার্টমেন্ট এর ইন্সপেক্টর কঠোরভাবে মনিটর করবে গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের অ্যাক্টিভিটি এবং যাতে কোনো অঘটন না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখবে।
![]() |
ভিআরপি দের রেশন পরিদর্শন |
ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে একটি অর্ডার বের করা হয়েছে যেখানে এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির মনিটরিং করার জন্য গ্রামীন সম্পদ কর্মীদেরই বাছা হয়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন এই কাজের জন্য। ইতিমধ্যেই গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের কাছে প্রশিক্ষণের অর্ডার কপি ও পৌঁছে গেছে।
কেন বাছা হয়েছে গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের এই কাজে?
2018 সালে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা ইতিপূর্বেই রেশনের দোকানে সামাজিক নিরীক্ষা কাজটি করেছিল। সেক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছিল সারা রাজ্যে। রেশনের দোকানে দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে গিয়েছিল যা এখনো পর্যন্ত অনুভব করে উপভোক্তারা।একজন উপভোক্তা বলেছিলেন,
বাবা, আগে আমি মাত্র দুই প্যাকেট আটা পেতাম কিন্তু তোমরা আসার পর থেকে এখন আমরা ছয় প্যাকেট আটা পাই । তোমাদের মঙ্গল হোক।
উপরের বক্তব্যটিতে নিছকই চার প্যাকেট আটার ব্যবধান মনে হলেও সারা রাজ্যব্যাপী এই পরিবর্তন এক বিশাল প্রাপ্য ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করেন গ্রামীন সম্পদ কর্মী রা।
![]() |
অর্ডার কপি ২০২০ |
কিভাবে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা করবে রেশনের দোকানে তদারকি ও পরিদর্শন ?
ফুড এন্ড সাপ্লাই ডিপার্টমেন্টের ইন্সপেক্টর কে বলা হয়েছে গ্রামীন সম্পদ কর্মী দের লিস্ট তাদের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অফিস থেকে নিয়ে নিতে।গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের একটি বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলেছেন জেলার ম্যাজিস্ট্রেট।
এই ট্রেনিংয়ে খাদ্যদ্রব্যের পরিমাপ ,কোয়ালিটি চেক ইত্যাদি সকল বিষয়ে আলোচনা হবে। এতে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা আরও ভালোভাবে এই ব্যবস্থাকে পরিচালনা করতে পারবে।
গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা কি তাহলে অন্য কাজ এখন করবে না?
অর্ডারে বলা হয়েছে যে এই কাজটি তারা অন্য কাজের পাশাপাশি করবে। বর্তমানে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা vector-borne ডিজিজ অর্থাৎ পতঙ্গ বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজের পাশাপাশি আরো কয়েকটা কাজ করছে।পৃথিবীর কাছে এক চরম সমস্যা সেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছেন VRP রা। শুনে হয়তো আপনার অবাক হবেন কিন্তু এটাই বাস্তব। বর্তমানে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই করোনা মোকাবেলার কাজে প্রচণ্ড পরিশ্রম করে চলেছেন। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া যা সাধারণত আপনাদেরকে দেখাবে না কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যদি আপনি দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটা গ্রামে যে সমস্ত কোরেন্টিন সেন্টারগুলো হয়েছে , সেখানে রাত দিন 24 ঘন্টায় ডিউটিতে নিয়োজিত রয়েছে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা।![]() |
অম্ফান পূর্ববর্তী মুহূর্তে মানুষকে সচেতন করছে VRP রা |
আপনারা হয়তো জেনেছেন যে করোনা মোকাবেলার কাজে ও তথ্য সংগ্রহে আশা কর্মীরা নিয়োজিত রয়েছেন।এটা অস্বীকার করার নয় কিন্তু তাদের থেকেও বেশি পরিশ্রম করেছে গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা।পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসার পরে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর অফিসে পৌঁছে দিয়েছেন গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা।তারা আসাদের থেকে কোন অংশেই কম পরিশ্রম দেয়নি বরং তাদের থেকে অনেক বেশি পরিশ্রম দিয়েছেন। কিন্তু এই পরিশ্রমের কথা বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত ঠিকমতো পৌঁছায় নি। কোথাও আবার গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের তুলে আনা তথ্যই আশাদের নাম করে পাঠানো হয়েছে।
তাছাড়াও আমফান ঝড়ের পূর্বে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং ঝড় পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভিআরপিরা। ত্রাণশিবিরে খোঁজ রাখা এমনকি মানুষকে ঔষধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র প্রদান এই গ্রামীন সম্পদ কর্মী রায় করেছে।তাই এই সমস্ত কাজের পাশাপাশি আরেকটি কাজ করতে হবে গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের।
এই কাজের জন্য গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের কত টাকা দেওয়া হবে?
এই প্রশ্নটা নিছকই আপনার কাছে একটা খুবই ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন মনে হতে পারে কিন্তু এই প্রশ্নটা গ্রামীন সম্পদ কর্মী দের কাছে আর কোন গুরুত্ব রাখে না।ইতিপূর্বে রেশনের স্লিপ বিতরণ বলুন কিংবা সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের স্লিপ বিতরণ বলুন সমস্ত কাজই তারা প্রায় শূন্য পারিশ্রমিকের করেছে বলা যায়।এই কাজটিতে ও তারা যেকোন অর্থ পাবে সে বিষয়ে কোনো কিছুই অর্ডারে বলা নেই।গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা আসলে শিক্ষিত সমাজেরই একটা প্রতিচ্ছবি তাছাড়া প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করে চলেছে। যদি পরবর্তীতে কোন অর্থ সরকার থেকে আবার সেই কাজের জন্য অবশ্যই তারা পাবে কিন্তু সেটা নির্ভর করে জেলা ও ব্লক এর উপরে।কারণ ইতিপূর্বে অনেক ব্লকে দেখা গিয়েছে একই কাজের জন্য অন্যান্য ব্লক কিছু অর্থ গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের প্রদান করলেও অনেক ব্লক তাদের শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে।![]() |
VRP দের দ্বারা ত্রাণ শিবিরে ঔষধ বিতরণ |
কবে থেকে শুরু হবে রেশন দোকানে রেশন দোকানে মনিটরিং এর কাজ?
পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই সালের পয়লা জুন থেকে কাজ চালু হবে।গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা প্রতিদিন রিপোর্ট কালেক্ট করবে এবং তাদের গ্রুপে জানাবে।রিয়েল টাইম ডাটা মনিটরিং এর জন্যই গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের এই কাজে রাখা হয়েছে।
ফুড এন্ড সাপ্লাই ডিপার্টমেন্ট এর ইন্সপেক্টর কঠোরভাবে মনিটর করবে গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের অ্যাক্টিভিটি এবং যাতে কোনো অঘটন না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখবে।